প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানান, আগুন লাগার ঘটনা কোভিড-১৯ টিকার ডোজ সরবরাহের বিদ্যমান অবস্থাতে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
এই প্রতিষ্ঠানটি থেকে আজ ভারতের উপহার হিসেবে কোভিশিল্ড টিকার ২০ লাখ ডোজ বাংলাদেশকে দেয়া হয়েছে। কয়েক দিন আগে ভারতেও এই টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে।
পুনের মেয়র মুরলিধর মোহল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভবনটি থেকে চারজনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে আমাদের দমকল কর্মীরা পাঁচটি লাশ উদ্ধার করে। সম্ভবত নিহতরা নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন।’
আরও পড়ুন: টিকা উপহার শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদির দৃঢ় সম্পর্কের নিদর্শন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সেরামের টিকা পেতে সমস্যা হবে না: বেক্সিমকো
করোনার ভ্যাকসিন কিনতে ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের সাথে সরকারের চুক্তি
দমকল বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, করোনাভাইরাসের টিকা কোভিশিল্ড উৎপাদনের নিকটে একটি নির্মাণাধীন ভবনের চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় আগুন লাগে। আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর দমকল বাহিনীর ১২টি ইউনিটকে কাজে লাগানো হয়। আটকে পড়া চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর সময় প্রচুর ধোঁয়া দেখা যাচ্ছিল।
সেরামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আদার পুনাওয়ালা এক টুইটার বার্তায় বলেন, ‘ভ্যাকসিন উৎপাদনের কোনো সমস্যা হবে না কারণ সংস্থার অন্যান্য সুযোগ সুবিধা রয়েছে। আপনাদের উদ্বেগ এবং প্রার্থনার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’
সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক এবং তারা অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় টিকার ১০০ কোটি ডোজ উৎপাদনের চুক্তি করেছে।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন: ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে বিনিয়োগ করবে বেক্সিমকো ফার্মা
ঢাকায় ভারতের উপহারের ভ্যাকসিন সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রতিশ্রুতির অংশ: রাষ্ট্রদূত
এর আগে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী গত মাসে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে উৎপাদন ক্ষমতা প্রতিবছর ১২০ কোটি ডোজ থেকে ২৫০ কোটি ডোজে উন্নীত করার আশা করছেন।
এ বছর প্রায় ১২০০ কোটির বেশি করোনা টিকার ডোজ উৎপাদন হতে পারে যার মধ্যে ধনী দেশগুলো ইতোমধ্যে প্রায় ৯০০ কোটি কিনে নিয়েছে এবং অনেকের কাছে আরও বেশি কেনার বিকল্প রয়েছে। ফলে সেরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত বেশির ভাগ টিকা উন্নয়নশীল দেশগুলোর ব্যবহার করার সম্ভাবনা রয়েছে।