পেনসিলভানিয়া, নেভাডা এবং জর্জিয়ায় ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে থেকে হোয়াইট হাউসে পা রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ২৭০ ইলেক্টোরাল ভোট পাওয়ার ক্ষেত্রে আরও শক্তিশালী অবস্থানে চলে গেছেন বাইডেন। ঐতিহাসিক এই নির্বাচনে যিনি জয়ী হবেন তিনি করোনাভাইরাস মহামারি এবং গভীর রাজনৈতিক মেরুকরণসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে দেশকে নেতৃত্ব দেবেন।
আরও পড়ুন: হোয়াইট হাউসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি: বাইডেন
দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য পেনসিলভানিয়ায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাইডেন ট্রাম্পের চেয়ে প্রায় ৩০ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুই প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান প্রায় দুই লাখ থাকলেও ডাকের ভোট গণনা শুরুর পর থেকেই চিত্র পাল্টাতে থাকে। এখন পর্যন্ত রাজ্যটিতে ৯৯ শতাংশ ভোট গণনা সম্পন্ন হয়েছে যেখানে ৪৯.৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন বাইডেন এবং ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৯.২ শতাংশ।
নির্বাচনের ফল ঘোষণার প্রায় শেষ সময়ে এসে পেনসিলভানিয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কারণ এ রাজ্যে ইলেক্টোরাল ভোট রয়েছে ২০টি। এখানে জয় পেলেই উতরে যাবেন বাইডেন। আর পেনসিলভানিয়া ছাড়া এখন ট্রাম্পের পক্ষে জয় পাওয়া সম্ভব নয়।
জর্জিয়াতেও ৯৯ শতাংশ ভোট গণনা শেষ হয়েছে। এখানেও চার হাজারের কিছু বেশি ভোটে এগিয়ে বাইডেন। তবে এই রাজ্যে দুই প্রার্থীর মধ্যে ব্যবধান খুব কম হওয়ায় ভোট পুনরায় গণনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য কর্তৃপক্ষ।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়া নেভাডাতেও ২৩ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন বাইডেন। সম্পন্ন হয়েছে ৮৭ শতাংশ ভোট গণনা।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের বিশুদ্ধতা নিয়ে অভিযোগ আনলেন ট্রাম্প
এদিকে নির্বাচনী রাতে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংরুমের মঞ্চ থেকে বলেছেন, ‘এটি এমন একটি ঘটনা যখন তারা নির্বাচন চুরি করার চেষ্টা করছে, তারা নির্বাচনকে ছিনতাই করার চেষ্টা করছে।’
এছাড়া আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের কথা উল্লেখ করে শুক্রবার গভীর রাতে এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘জো বাইডেনের ভুলভাবে প্রেসিডেন্ট পদ দাবি করা উচিত নয়। আমিও এ দাবি করতে পারি। আইনী কার্যক্রম কেবলই শুরু হয়েছে।’
অপরদিকে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল না আসা পর্যন্ত নিজের সমর্থকসহ সকলকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন জো বাইডেন।