করোনাভাইরাসের ফলে মিয়ানমারে দিন-দিন মৃত্যু বাড়ছে। ফেব্রুয়ারিতে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলে নেয়া সামরিক সরকার ক্ষমতাকে সুসংহত করতে ও বিরোধীদের দমনে মহামারিকে হাতিয়াড় হিসেবে ব্যবহার করছে বলে দেশটির বাসিন্দা ও মানবাধিকার কর্মীদের কাছ থেকে অভিযোগ উঠছে।
গত সপ্তাহে, মিয়ানমারে মাথাপিছু মৃত্যুর হার ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়াকে ছাড়িয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছায়। জান্তা প্রশাসন আর বিদ্রোহীদের সংঘাতে স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে গোপন হাসপাতালে সামরিক বাহিনীর হামলা
সরকার মেডিকেল অক্সিজেনের সরবরাহ কমানোর পাশাপাশি অনেক জায়গায় বিক্রয় সীমাবদ্ধ করেছে। সরকারের দাবি কেউ যাতে অক্সিজেন মজুদ করতে না পারে তাই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে অভিযোগ উঠেছে, সরকার সমর্থক ও সেনাবাহিনী পরিচালিত হাসপাতালগুলোতে ব্যাপকভাবে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে।
একই সময়ে সরকার বিরোধী আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকেই স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলা, আটকসহ নির্যাতন চালিয়ে আসছে জান্তা সরকার। তাদেরকে টার্গেট করে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।
জাতিসংঘের সাবেক মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ইয়াঙ্গি লি বলেন, ‘জান্তা সরকার ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম ও মাস্ক বিতরণ বন্ধ করে দিয়েছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে সমর্থনকারী এমন সন্দেহভাজন নাগরিকদের হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতেও দিচ্ছে না। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের সমর্থন জানানো চিকিৎসকদের গ্রেফতার করছে সেনাবাহিনী।’
আরও পড়ুন: বিদ্রোহ রুখতে মিয়ানমারে গ্রাম পোড়ালো জান্তা বাহিনী
সামরিক বাহিনী করোনাকে অস্থ হিসেবে ব্যবহার করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা বেসামরিক জনগণ এবং সরকার বিরোধীদের কাছে অক্সিজেন বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে। জীবন বাঁচানোর অক্সিজেনকেই তারা এখন মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে।’