সুদানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আওয়াদ মোহাম্মেদ ইবনে আউফ এক ঘোষণায় ৭৫ বছর বয়সী বশিরের গ্রেপ্তার ও অপসারণের বিষয়টি জানিয়েছেন।
ইবনে আউফ বলেন, সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে গঠিত একটি সামরিক পরিষদ দুই বছর দেশ শাসন করবে। পরে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন’ আয়োজন করা হবে। সুদানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম পরে জানায়, ইবনে আউফ নতুন পরিষদের প্রধান হিসেবে শপথ নিচ্ছেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী তার ঘোষণায় আরও জানান, সেনাবাহিনী সংবিধান স্থগিত, সরকার বাতিল, তিন মাসের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা, দেশের সীমান্ত ও আকাশপথ বন্ধ এবং সান্ধ্য আইন (কারফিউ) জারি করেছে।
সামরিক অভ্যুত্থানের খবর পেয়ে শুরুতে আনন্দিত বিক্ষোভকারীরা বলছেন, বেসামরিক অন্তর্বর্তী সরকার গঠন না করা পর্যন্ত তারা কেন্দ্রীয় খার্তুমে সেনা সদরদপ্তরের বাইরে প্রায় সপ্তাহব্যাপী চলমান তাদের অবস্থান কর্মসূচি ত্যাগ করবেন না।
বৃহস্পতিবার রাতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় ড্রাম বাজান, গান করেন এবং সশস্ত্র বাহিনী ও ইবনে আউফের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেয়া একটি সংগঠন জানিয়েছে, রাত ১০টা থেকে জারি করা কারফিউ উপেক্ষা করে মানুষ রাস্তায় অবস্থান করছেন।
বিক্ষোভকারীরা চিৎকার করে বলতে থাকেন- ‘প্রথমটার পতন হয়েছে, দ্বিতীয়টাও যাবে!’ এবং ‘তারা এক চোর সরিয়ে আরেক চোর এনেছে!’
বশিরের অবস্থান সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি। ইবনে আউফ শুধু জানিয়েছেন যে তাকে ‘নিরাপদ জায়গায়’ রাখা হয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বশিরকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কাছে হস্তান্তর করতে সুদানের সামরিক কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানিয়েছে। দারফুরে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযানের জন্য বশিরের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে।
সেনাবাহিনী ও ইসলামি রক্ষণশীলদের সমর্থন নিয়ে ১৯৮৯ সালে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসেন বশির। তিনি শক্ত হাতে দেশ শাসন এবং বিরোধীদের নৃশংসভাবে দমন করেন। সেই সাথে সঙ্গী ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে অর্থনীতিকে একচেটিয়া করে ফেলেন।