বুধবার সকাল ৯টার দিকে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯ কোটি ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ১৪৯ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৯ লাখ ৬১ হাজার ৯৮৭ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
আরও পড়ুন: আগামী ১০০ দিনে ঝুঁকিতে থাকাদের কোভিড টিকাদানে সরকারদের প্রতি ডব্লিউএইচওর প্রধানের আহ্বান
বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যে করোনা এখনও উদ্বেগের বিষয়: ডব্লিউএইচও
কোভিড-১৯ টিকা কোনো ‘জাদুর কাঠি’ নয়: ডব্লিউএইচও
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে ২ কোটি ২৮ লাখ ৩৬ হাজার ২৪৪ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৩ লাখ ৮০ হাজার ৬৫১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সাড়ে ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৪ লাখ ৭৯ হাজারের বেশি এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৫১ হাজার ৩২৭ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৮১ লাখ ৯৫ হাজারের বেশি এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৪ হাজার ৬৯০ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজারেরও বেশি মানুষ এই ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক দিনে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ৮১৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, ৭১৮ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ২৪ হাজার ২০ জনে পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১৯৪ ল্যাবে আরটি-পিসিআর, জিন এক্সপার্ট ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৭৯১টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৩৬৩টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৩৩ লাখ ৮৫ হাজার ৭৭৯টি।
আরও পড়ুন: ন্যায্যভাবে টিকাদান ‘জীবন বাঁচায়, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা স্থিতিশীল করে’: ডব্লিউএইচও প্রধান
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৫ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
নতুন যে ১৬ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১০ এবং নারী ছয়জন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ৯৩৭ জন বা ৭৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং নারী ১ হাজার ৮৮২ জন বা ২৪ দশমিক ০৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৯৬৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৬৮১ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমকি ৪৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: টিকার বিকল্প উৎস খুঁজে বের করুন: সরকারকে বিএনপি
করোনার টিকা: ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি পেল দেশের গ্লোব বায়োটেক
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।