বৃহস্পতিবার নিজের ক্ষমতাসীন দলের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এক বক্তব্যে তিনি দুঃখ করে বলেন, সিরিয়ান উদ্বাস্তুদের বোঝা একা তুরস্কের কাঁধে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার ভেতরে নিজেদের সীমান্তের পাশে সেইফ জোন তৈরি করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তুরস্ক। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সমঝোতা না হলে তারা নিজেরাই চলতি মাস শেষ হওয়ার আগে তা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
সেফ জোন তৈরির আগের প্রস্তুাবগুলো পশ্চিমা দেশগুলো উপেক্ষা করায় তুরস্কের বিরক্তি পুনরায় প্রকাশ করে এরদোয়ান বলেন, ‘আমরা গেটগুলো খুলে দিতে বাধ্য হব। এ বোঝা একা বহনে আমাদের জোর করা যায় না।’
‘বোঝা ভাগাভাগি করে নেয়ার বিষয়ে আমরা বিশ্ব ও বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে প্রয়োজনীয় সমর্থন পাইনি,’ বলেন তিনি।
তুরস্ক ২০১১ সালের এপ্রিলে গৃহযুদ্ধ থেকে পালানো সিরিয়ানদের জন্য তাদের সীমান্ত খুলে দেয় এবং বর্তমানে সেখানে ৩৬ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়ে আছে। কিন্তু তুরস্কের অর্থনৈতিক মন্দা ও বেকারত্ব বাড়তে থাকায় এখন তুর্কিদের মধ্যে সিরিয়ানদের দেশে ফিরে যাওয়ার দাবি বৃদ্ধি পাচ্ছে।