এর মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইউ) থেকে বেরিয়া যাওয়া (ব্রেক্সিট) নিয়ে যুক্তরাজ্যের অচলাবস্থা কাটানোর ব্যাপারে তৃতীয়বারের মতো পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন জনসন। সেই আগাম নির্বাচনের জন্য ১২ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী। যে প্রস্তাবের ওপর আগামী সোমবার পার্লামেন্ট সদস্যরা ভোট দিবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর আল জাজিরার।
বৃহস্পতিবার এক টেলিভিশন ভাষণে জনসন বলেন, ‘যেভাবে ব্রেক্সিট হচ্ছে তাতে আমার মনে হয় পার্লামেন্টই বেশি যুক্তিযুক্ত।’ যদিও গত মাসে নিয়মবহির্ভূতভাবে পার্লামেন্ট কার্যক্রম স্থগিত করেছিলেন তিনি।
এদিকে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী চাইলেও ব্রেক্সিট নিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ গত জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া জনসন নির্বাচনের জন্য হাউজ অব কমন্সের দুই তৃতীয়াংশের সমর্থন পেতে ইতিমধ্যে দুবার ব্যর্থ হয়েছেন।
বিরোধী দলীয় লেবার পার্টির প্রধান জেরেমি করবিন বলেন, তিনি অপেক্ষা করবেন এবং দেখবেন যে ব্লক থেকে যুক্তরাজ্যের সরে আসতে বিলম্ব করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাজি হয়েছে কি না।
‘যদি ইউরোপীয় ইউনিয়ন আগামীকাল জবাব দেয় তাহলে আমিও আগামীকাল জানাবো’ উল্লেখ করে করবিন বলেন, ‘টেবিলের বাইরে কোনো চুক্তি না হলে আমরা সাধারণ নির্বাচনে অবশ্যই সমর্থন জানাবো।’
প্রসঙ্গত, ব্রেক্সিটের জন্য আরও কতটা সময় পাওয়া যাবে তা নিয়ে শুক্রবার কথা বলবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আশঙ্কার বিষয় হলো, তারা (ইইউ) যদি দীর্ঘ মেয়াদী বিলম্বের প্রস্তাব দেয় তবে ব্রেক্সিট চুক্তিতে আবার বেশ কিছু সংশোধনী যুক্ত করতে হবে। যুক্তরাজ্য সরকার সমর্থন করতে পারে না এমন সংশোধনীও অন্তর্ভুক্ত করতে পারে সেখানে।