অভিযোগ উঠেছে, একটি অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বাজারে মালামাল কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আটা, ময়দা, হ্যান্ডওয়াশ, টিস্যু পেপারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য অস্বাভাবিকভাবে দাম বৃদ্ধি করছে।
শুক্রবার যশোরের বড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত ৩-৪ দিনে ধরে হু হু করে চালের দাম বেড়েই চলেছে চিকন চাল কেজি প্রতিতে ৫-৬ টাকা এবং মোটা চাল প্রতিকেজিতে ৭-৮ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
একদিনের ব্যবধানে ৩৫ টাকার পেঁয়াজ ৬০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে, রসুন, আদা, আলু, মরিচ সব কিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ৬০ টাকার চিনি ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সরেজমিনে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, করোনা আতঙ্কে সাধারণ মানুষ অতিরিক্ত নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যে কেনাকাটা করছে। এর ফলে বাজারে কৃত্রিম সংকট দেখা দিয়েছে। যশোরসহ আশেপাশের বাজারগুলোতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আতঙ্কগ্রস্ত মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের তীব্র সঙ্কটের আশঙ্কায় হুমড়ি খেয়ে জিনিসপত্র কিনছে। আর এ সুযোগে একটি অসাধু ব্যবসায়ী মহল বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি করছে।
বাজার করতে আসা মহশিন নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, দিন আনি দিন খাই, কিন্তু নিত্যপণ্যের দাম এমন হারে বাড়তে থাকলে আমাদের পরিবার নিয়ে না খেয়ে দিন কাটাতে হবে। প্রশাসন যদি এখন ব্যবস্থা না নেন তাহলে আবার আমাদের লবণ কাহিনী দেখতে হবে।’