বাংলাদেশ নভেম্বর মাসে এক দশমিক ৫৯ বিলিয়ন (১৫৯ কোটি) মার্কিন ডলার অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স পেয়েছে। এতে দেখা যায়, প্রবাসী আয় প্রবাহ সামান্য বৃদ্ধি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক নগদ প্রণোদনা এবং বিনা খরচে রেমিটেন্স পাঠানোর সুযোগসহ অর্ধডজন সুবিধা ঘোষণার পর অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহে তীক্ষ্ণ বৃদ্ধির আশা করলেও এখন পর্যন্ত সন্তোষজনক সাড়া পায়নি।
বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের মধ্যে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স ক্রমাগত কমছে।
অক্টোবরে প্রবাসীরা এক দশমিক ৫২ বিলিয়ন(১৫২কোটি) ডলার পাঠিয়েছেন। জুলাই ও আগস্ট মাসে বাংলাদেশ পেয়েছে যথাক্রমে দুই দশমিক ০৯ বিলিয়ন এবং দুই দশমিক ০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সেপ্টেম্বর থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমছে। প্রবাসীদের মধ্যে একটি গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশে অর্থ পাঠানো নিরাপদ নয়, যা স্পষ্টতই রেমিট্যান্স প্রবাহকে প্রভাবিত করেছে।
আরও পড়ুন: আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য ২ মাস চেয়ে আইনজীবীদের আবেদন
বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মাসে আট দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলারের অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স পেয়েছে। যেখানে ২০২২ অর্থবছরের একই সময়ে এই সংখ্যাটি ছিল আট দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার। এতে দেখা যায় যে প্রবাসীরা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩ অর্থবছরে দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে।
বিবির মুখপাত্র মো. আবুল কালাম আজাদ ইউএনবিকে বলেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেমিট্যান্সের জন্য মার্কিন ডলারের বিনিময় হার বাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, রেমিট্যান্সের জন্য দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ ঝামেলামুক্ত প্রণোদনা ছাড়াও, বেশ কয়েকটি ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা আহরণে অতিরিক্ত প্রণোদনাও প্রদান করে।
তিনি বলেন, আইনি কাঠামোতে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য ব্যাংকগুলো কোনো ফি নেবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণায় দেখা গেছে, ৪০ শতাংশের বেশি রেমিট্যান্স পাঠানো হয় অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে।