গত দুদিনের ব্যবধানে কেজিতে অন্তত ৩০-৫০ টাকা বেড়ে বৃহস্পতিবার পাইকারি বাজারে ১০০-১৩০ টাকা দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৭০-৮০ টাকায়। প্রতিদিন এই বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি হলেও ভারতের রপ্তানি জটিলতার কারণে গত ৬ দিন ধরে এ বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে।
গত মঙ্গলবার থেকে পর্যায় ক্রমে দাম বেড়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বন্দরের মোকামগুলোতে পেঁয়াজ মানভেদে ৭০-৮০ টাকায় পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সোমবার পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়েছে ৫০-৫৫ টাকায়।
বন্দরের কাঁচা মরিচ আমদানিকারক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা হয়েছে। এ কারণে এবার কাঁচা মরিচের আবাদ নষ্ট হয়ে গেছে। দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করা হচ্ছে।
তিনি জানান, বুধবার ও বৃহস্পতিবার বন্দরের মোকামে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ মানভেদে পাইকারি বিক্রি হয়েছে ১০০-১৩০ টাকায়। মঙ্গলবারও এই কাঁচা মরিচ ৭০-৮০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু ভারতেও বন্যা হওয়ায় আমদানি কমে গেছে। প্রতিদিন হিলিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসে আমদানি করা কাঁচা মরিচ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, গত শনিবার ভারতীয় ১১টি ট্রাকে ২৪৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়েছে। যার অধিকাংশই পেঁয়াজ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি পেঁয়াজের মধ্যে থেকে ভালো পেঁয়াজ বাছাই করে সেগুলো বিক্রি করা হচ্ছে। একারণে ৭০-৮০ টাকা দাম উঠেছে।