তিনি বলেন, পণ্যের উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করতে প্রতিযোগিতা কমিশন আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।
শনিবার ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গুটি কয়েক মানুষের লাভের জন্য দেশ স্বাধীন করা হয়নি। পণ্যের সঠিক মূল্য নিশ্চিত করতে সরকার সবকিছু করবে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পণ্য অবৈধভাবে মজুত করে কৃত্রিম উপায়ে মূল্য বৃদ্ধি করা সুযোগ দেয়া হবে না। বাজারে পণ্যের চাহিদা ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে হবে। বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে।’
‘মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে পবিত্র রমজান মাসের আগেই পণ্যের অবৈধ মজুত ও দাম বৃদ্ধির সুযোগ দেয়া হবে না। ব্যবসায় প্রতিযোগিতা না থাকলে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মানুষের ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ করতে দেয়া হবে না। প্রতিযোগিতা সৃষ্টির মাধ্যমে পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা সম্ভব। নিয়ন্ত্রণহীনভাবে জনগণের স্বার্থবিরোধী কাজ করতে দেয়া হবে না। ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা গেলে দেশের মানুষ প্রকৃত মূল্যে পণ্য ক্রয়ের সুযোগ পাবেন,’ যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল খান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, শ্রম ও উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ ড. আব্দুর রাজ্জাক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান ও এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট মো. সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বক্তব্য দেন।