আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরকে ঘিরে সক্রিয় শক্তিশালী চোরাচালান সিন্ডিকেট
করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে নতুন মেডিকেল ভিসা ও পুরনো বিজনেস ভিসায় বাংলাদেশিরা ভারত যাতায়াত করেছেন। ভারতীয় যাত্রীরাও ইমপ্লয়মেন্ট ও বিজনেস ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে আসছেন। ফলে করোনার প্রভাবে বন্ধ ভারত-বাংলাদেশ পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত বাড়তে শুরু করেছে।
তবে, নিষেধাজ্ঞা শিথিল হলেও টুরিস্ট ভিসায় যাতায়াত শুরু হয়নি।
আরও পড়ুন: টানা ৪ দিন বন্ধের পর বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
ভারতগামী বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী মো. ফিরোজ বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ায় চিকিৎসা ও ব্যবসার কাজে ভারতে যাচ্ছি। তবে, মেডিকেল ভিসার মেয়াদ ৩ থেকে ৬ মাসের জন্য দিলেও এ ভিসায় মাত্র একবার ভ্রমণের সুযোগ আছে।’ এতে প্রয়োজন মিটবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে আছেন তিনি।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার উৎপলা বিশ্বাস জানান, ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াতে দু’দেশের যাত্রীদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ সার্টিফিকেট প্রয়োজন হচ্ছে। এই সার্টিফিকেট নিতে প্রতিদিন ভিড় বাড়ছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে বোমা বিস্ফোরণ, বন্দরজুড়ে আতংক
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব বলেন, ‘আপাতত মেডিকেল, স্টুডেন্ট আর বিজনেস ভিসায় বাংলাদেশিরা ভারতে যেতে পারছেন। ভারতীয়রা আসছেন ইমপ্লয়মেন্ট ও ব্যবসায়ী ভিসায়। এছাড়া কুটনৈতিক ভিসায়ও যেতে পারবেন যাত্রীরা। মেডিকেল ভিসায় যারা যাচ্ছেন তাদের নতুন ভিসা নিতে হচ্ছে। বিজনেস ও স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে পুরনো ভিসা কার্যকর হচ্ছে। তবে সবার ক্ষেত্রে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক।’
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে ট্রাকসহ শাড়ির চালান আটক
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতি বছর এপথে ভারত-বাংলাদেশের প্রায় ৩০ লাখ দেশি-বিদেশি যাত্রী যাতায়াত করে থাকেন। এদের কাছ থেকে ভ্রমণ কর বাবদ সরকারের রাজস্ব আসে কমপক্ষে ১০০ কোটির কাছাকাছি। শুক্রবার মেডিকেল ভিসায় ভারতে গেছেন ৭০২ জন বাংলাদেশি আর ভারত থেকে এসেছেন ১২১ জন। ১১ জানুয়ারি থেকে ১২ ফেবব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে গেছে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার পাসপোর্ট যাত্রী। ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছে প্রায় ১২ হাজার পাসপোর্ট যাত্রী। এই এক মাসে ভ্রমণকর বাবদ সরকারের রাজস্ব এসেছে প্রায় ৯০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:ভারত থেকে হিলি দিয়ে চাল আমদানি ফের বন্ধ
বর্তমানে মেডিকেল ভিসায় যাত্রীর সংখ্যা ৯০ শতাংশ। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারত সরকার গত ১৩ মার্চ বাংলাদেশিদের ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। পরবর্তীতে একই নিষেধাজ্ঞায় বন্ধ হয়েছিল ভারতীয়দের বাংলাদেশে আসা। এতে বিশেষ করে চিকিৎসা আর বাণিজ্যিক ভিসায় যাতায়াতকারীরা বেশি দুর্ভোগে পড়েন।