এলিফ্যান্ট রোডের বাসভবনে প্রখ্যাত শিক্ষাবিদের প্রতি দলের পক্ষ থেকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শ্রদ্ধা জানান।
এসম ফখরুল এমাজউদ্দীনের মৃতদেহের সামনে কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ফখরুল বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না তিনি হঠাৎ এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। তার মৃত্যুতে আমাদের মধ্যে একটি বড় শূন্যতা তৈরি হয়েছে, যা সহজে পূরণ করা যাবে না। ’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের পক্ষে, আমাদের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে আমরা তাকে শ্রদ্ধা জানাই। আমরা প্রার্থনা করি যাতে আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করেন।’
বিএনপি নেতা শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
ফখরুল বলেন, এমাজউদ্দীন ছিলেন দেশের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র-প্রেমী মানুষদের অভিভাবক। ‘তিনি সত্যই নিঃস্বার্থ, নিবেদিত দেশপ্রেমিক এবং শিক্ষাবিদ ছিলেন।’
তিনি বলেন, ঢাবির সাবেক উপাচার্য সর্বদা চেয়েছিলেন বাংলাদেশ সত্যিই উদার গণতান্ত্রিক ও উন্নত দেশে পরিণত হোক। ‘সারা জীবন তিনি স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পক্ষে লিখেছেন।’
ফখরুল বলেন, অধ্যাপক এমাজউদ্দিন একজন নক্ষত্র এবং একটি সূর্য, যিনি তার আলো দিয়ে জাতিকে আলোকিত করেছেন।
পরে, তিনি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের সান্ত্বনা দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শুক্রবার সকালে মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
বিএনপিতে সরাসরি তার পদ না থাকলেও শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সাথে তার সুসম্পর্ক থাকার কারণে তিনি বিভিন্ন সময় দলের অনেক কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন এবং দলের নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় তার উল্লেখযোগ্য প্রভাব ছিল।
তিনি বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীদের প্ল্যাটফর্ম ‘শত নাগরিক কমিটির’ আহ্বায়ক ছিলেন।