তিনি বলেন, ‘এখান থেকে যুবসমাজকে রক্ষার জন্য তাদের উন্নয়ন, সমৃদ্ধি, শান্তি ও আত্মত্যাগের রাজনীতির ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। জাতীয় পার্টি যুবকদের জন্য সেই রাজনৈতিক মঞ্চ তৈরি করে দেবে, যেখান থেকে যুবকরা ইতিবাচক রাজনৈতিক আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করতে পারবে।’
রাজধানীর বনানীতে নিজ কার্যালয়ের মিলনায়তনে জাতীয় যুবসংহতি এবং জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে পৃথক মতবিনিময় সভায় তিনি জানান, রাজনীতিতে এখন শূন্যতা বিরাজ করছে। জাতীয় পার্টিকেই এ শূন্যতা দূর করতে হবে। কারণ, দেশের জনগণ এখন জাতীয় পার্টিকেই বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে দেখতে চায়।
সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, ‘জাতীয় পার্টি জনগণের দলে পরিণত হবে। জাতীয় পার্টি পরিণত হবে কর্মীবান্ধব দলে। জাতীয় পার্টির মালিকানা থাকবে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের মাঝে। জাতীয় পার্টি নেতা কেন্দ্রীক দলে পারিণত হবে না। জাতীয় পার্টি ২-৪ জনের স্বার্থে ব্যবহার হবে না।’
এ সময় দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা জানান, জাতীয় ছাত্র সমাজ, জাতীয় যুব সংহতি ও স্বেচ্ছাসেবক পার্টিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো করার বয়সসীমা নির্ধারণ করা হবে। একটি নির্দিষ্ট বয়সের পরে সবাইকে জাতীয় পার্টিতে পদ ছেড়ে দেয়া হবে।
আগামী দিনের নেতৃত্ব সৃষ্টিতে এখন থেকেই যুবসংহতি ও স্বেচ্ছাসেবক পার্টিসহ অঙ্গ সংগঠনগুলোকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি জানান, ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় যুব সংহতি ও স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠান করতে হবে। প্রতিটি কাউন্সিলে গোপন ব্যালটে ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। কাউন্সিলের নামে লোক ভাড়া করে মহাসমাবেশ করলে চলবে না। প্রতিটি কাউন্সিলে প্রকৃত কাউন্সিলররাই উপস্থিত থাকবেন।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সুনীল শুভ রায় ও রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, যুবসংহতির সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন ও সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আহসান শাহজাদা, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মো. বেলাল হোসেন ও সদস্য সুমন আশরা মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন।