তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র ফিরে আসবে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে। রাজপথ উত্তপ্ত হওয়া শুরু হয়েছে; তাই নেতা-কর্মীদের আগামীতে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন:রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশ: সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ
রাজশাহীতে বিভাগীয় বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
পুলিশের অনুমতি নিয়ে বিকালে রাজশাহী নগরীর নাইস কনভেনশন সেন্টারে নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন, ভোট চুরি ও জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলে প্রতিবাদসহ বিভিন্ন দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। এতে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুর রহমান মিলনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রপ্রার্থী হিসেবে অংশ নেয়া তাবিথ আউয়াল, রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ ৩০ মার্চ
ইশরাক হোসেন বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের নামে দেশে কী হয়েছে তা আপনারা দেখেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরে একটা আনন্দঘন ও আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার পরিবর্তে দেশে এই অনির্বাচিত সরকার গুম, খুন, হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ, মানুষের কথা বলার অধিকার হরণ, ভোটের অধিকার হরণ করেছে। মানুষের এসব অধিকার ফিরিয়ে আনতে আজ আমরা স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে আন্দোলনের বার্তা নিয়ে এসেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নামে কালো আইন করেছে সরকার। জিয়াউর রহমানের খেতাব নিয়ে সরকার তামাশা করছে। আজ বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্ব সরকারের ক্ষমতায় নেই। তাই এই অবৈধ সরকারকে উৎখাত করে গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
আরও পড়ুন:সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে ৬ মহানগরে সমাবেশ করবে বিএনপি