দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তরের চলতি দায়িত্বে থাকা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘প্রশাসনকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং তাদের নেতা-কর্মীরা বেপরোয়াভাবে নির্বাচনী কর্মকাণ্ডের নামে বিএনপি প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। প্রশাসনকে দিয়ে অন্যায়ভাবে বিএনপির নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হচ্ছে।’
আগামী ১০ ডিসেম্বর দেশের ১০ উপজেলা, পাঁচ পৌরসভা ও ১৩ ইউনিয়ন পরিষদে সাধারণ/উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে। পোস্টার ছিড়ে ফেলছে। কোনো কোনো জায়গায় পোস্টার ঝুলাতেও দিচ্ছে না। এমনকি কর্মীদের হাত থেকে প্রচারপত্র কেড়ে নেয়া হয়েছে। বিএনপি প্রার্থীদের পথসভা করতে দেয়া হচ্ছে না।
বিএনপি নেতা-কর্মী এমনকি সাধারণ ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য, বলেন তিনি।
‘আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে নির্বাচনের সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করতে আবারও আহ্বান জানাচ্ছি। নির্বাচনে নির্বিঘ্নে সকল প্রার্থীকে প্রচার-প্রচারণাসহ নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পরিচালনার সমান সুযোগ, নির্ভয়ে সাধারণ ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে নিজ বিবেচনায় ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করার অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি,’ বলেন বিএনপির এ নেতা।
তিনি বলেন, ‘জনগণের মধ্যে বিরাজমান ভোট আতঙ্ক নয়, ভোট উৎসব সৃষ্টি করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করছি। নির্বাচন কমিশনকে সরকার ও আওয়ামী লীগের অনুগত ও আজ্ঞাবহ না হয়ে সমতল মাঠে যোগ্য রেফারির ভূমিকা পালন করতে অনুরোধ করছি। অন্যথায়, বর্তমান ব্যার্থ, অযোগ্য সরকারের মতো তাদেরও ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হতে হবে।’
সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘এসব নির্বাচনে কোনো সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। নেই কোনো লেভেল প্লেইং ফিল্ড। অথচ আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা নির্বাচনী আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে ক্রমাগত লঙ্ঘন করে চলছে। ক্ষমতাসীন দলের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কর্মকর্তার কাছে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করা হলেও তারা এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।’
তার অভিযোগ, সম্প্রতি কুষ্টিয়া, মাগুরা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বিনা উস্কানিতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট করেছে। কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব হোসেন, মাগুরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আখতার হোসেনের বাড়িতে হামলা হয়েছে। কলমাকান্দা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান বাবলুর ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
বিএনপি এসব হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে হামলার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানিয়েছে।