তিনি বলেন, ‘চসিক নির্বাচনে জালিয়াতির মাধ্যমে ফলাফল পাল্টে দেয়া, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আশ্বাস দিয়ে প্রতারণা এবং নির্বাচনী ফলাফলের নির্ধারিত প্রিন্টেড কপির পরিবর্তে সাদা কাগজের মাধ্যমে নিজেদের ইচ্ছামতো ফলাফল লিখে নৌকার প্রার্থীকে অস্বাভাবিক ভোট দেখিয়ে বিজয়ী ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ৩টি পৃথক মামলা করা হবে।’
রবিবার নগরীর কাজীর দেউড়ির নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে এক সংবাদ সম্মেলনে ডা. শাহাদাত এ ঘোষণা দেন।
চসিক নির্বাচনে গুলিতে নিহতের ঘটনায় বিজয়ী কাউন্সিলর সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা
এ সময় তিনি সদ্য সমাপ্ত চসিক নির্বাচনকে ‘বির্তর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ এবং জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ফলাফল পাল্টিয়ে ভোট লুটের মহাউৎসব’ উল্লেখ করে এ নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
লিখিত বক্তব্যে শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘নির্বাচন চলাকালে আমরা নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে প্রতিঘণ্টা ভোটের আপডেট চেয়েছিলাম। তারা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচন চলাকালীন আমি নিজেই ইসি অফিসে দুবার গিয়েছি। ভোটের হিসাবের প্রিন্টেড কপি চেয়েছিলাম কিন্তু তারা আমাদের সাদা কাগজে সাজানো কপি দিয়েছে।’
চসিকের মেয়র নির্বাচিত হলেন রেজাউল করিম চৌধুরী
‘ঘণ্টায় ঘণ্টায় ভোটের হিসাব চেয়েছিলাম, তারা দিতে পারেনি। জালিয়াতি করে আমার ৪ থেকে ৫ শতাংশ ভোট তারা কেড়ে নিয়েছে। সুনির্দিষ্ট এই তিন কারণে তাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হবে,’ অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচনে ধানের শীষের বিপরীতে নৌকা প্রতীকের প্রাপ্ত ভোট তিন লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮, আর ধানের শীষের ভোট ৫২ হাজার ৪৮৯টি। তিন লাখ ১৬ হাজার ভোটের ব্যবধানে নৌকার প্রার্থীকে মেয়র ঘোষণা করা হয়েছে।
‘কিন্তু রাত পৌনে ২টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেল, এই নির্বাচনে মাত্র সাড়ে ২২ শতাংশ ভোট পড়েছে। যেটা বাস্তবিক অর্থে ছিল ৭.৫ শতাংশ,’ বলেন তিনি।
চসিক নির্বাচন ‘চূড়ান্ত তামাশা’ ছাড়া কিছু নয়: বিএনপি
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ জানিয়ে ডা. শাহাদাত বলেন, ‘সকালে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার পর বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসাররা ধানের শীষের এজেন্ট কার্ডে স্বাক্ষর না করে অসহযোগিতা করেছেন। নির্বাচন বিধি অনুযায়ী ভোট গ্রহণ শেষে গণনার পর প্রতিটি কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করার নিয়ম থাকলেও এবারের নির্বাচনে তা করা হয়নি।’
প্রাণহানি, সংঘর্ষ, কেন্দ্র দখলে শেষ হলো চসিক নির্বাচন
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, মো. মিয়া ভোলা, এস এম সাইফুল আলম, মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদক জেলি চৌধুরীসহ ৪১ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলর প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।