মঙ্গলবার তার পক্ষে আইনজীবী কায়সার কামাল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদনটি দায়ের করেন।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ১৩ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। এরপর আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি (সার্টিফায়েড কপি) চেয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু প্রায় ২০ দিনেও আমরা আদেশের সার্টিফায়েড কপি পাইনি। অথচ আদেশের এক দিন পরেই যা পেয়ে যাওয়ার কথা।’
কায়সার কামাল আরো বলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়াকে আটকে রাখতেই এবং তার কারাবাস দীর্ঘায়িত করতেই বিচারিক আদালত আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি দিতে কালক্ষেপণ করছে। বিচার বিভাগ স্বাধীন হলে এমন হতো না। বিষয়টি আমরা হাইকোর্টকে অবহিত করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের বেঞ্চ থেকে অনুমতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট শাখায় জামিন আবেদন করেছি।’
চলতি সপ্তাহে হাইকোর্টের এ বেঞ্চে আবেদনটির শুনানি হতে পারে বলে জানান তিনি।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের হরতাল-অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি নাশকতার অভিযোগে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি করে।
এ মামলায় গত ২৫ জুলাই কুমিল্লার আদালত খালেদার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করলে ২৯ জুলাই হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তিনি। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে ৬ আগস্ট খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জামিনের পাশাপাশি রুল জারি করেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন জানালে ১২ আগস্ট আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেয়া রুল চার সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলে। পরে হাইকোর্ট রুল নিষ্পত্তি করে বিচারিক আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনটি সাত দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়ার আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জামিন আবেদনের শুনানি শেষে গত ১৩ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার বিশেষ জজ আদালত-১ তার জামিন আবেদন খারিজ করে। পরে মঙ্গলবার হাইকোর্টে ফের জামিন আবেদন করা হয়।