সরকার মঙ্গলবার ঘোষণা দেয় যে ৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে দুটি শর্তে ছয় মাসের জন্য দণ্ড স্থগিত করে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হবে। শর্ত দুটি হলো- দেশ ত্যাগ করা যাবে না এবং গুলশানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইউএনবিকে বলেন, ২৫ মাস পর খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানানোর জন্য তার বাসাটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে।
ফখরুল আরও জানান, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা বাসায় তার চিকিৎসা দেবেন। ‘আমরা সব ব্যবস্থা করেছি যাতে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা বাসায় তাকে চিকিৎসা দিতে পারেন।’
তবে ফখরুল উল্লেখ করেন যে খালেদা জিয়া বাসায় নাকি কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন সেটি তার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।
বিএনপি প্রধানের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দলের এক সদস্য বলেন, ‘এখানে ম্যাডামকে স্বাগত জানাতে আমরা সবাই প্রস্তুত। তার নিরাপত্তা টিমের প্রায় সব সদস্য ইতোমধ্যে ফিরোজায় পৌঁছে গেছেন। বেডরুমসহ পুরো বাসা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।’
খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম তদারকি করেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রধানের সাথে স্বেচ্ছায় কারাগারে থাকা তার সাহায্যকারী ফাতেমা বাসাতেও তার সাথে থাকবেন।
মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গুলশানে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান যে দুই শর্তে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। খালেদা জিয়ার বয়স এবং মানবিকতা বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে তিনি তার মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। একই বছরে তিনি আরও একটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন। যদিও তার দল বলছে, দুটি মামলাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।