জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, সরকার একের পর এক বিভিন্ন আইন করে গণমাধ্যমকে ‘নিয়ন্ত্রণ’ করছে।
‘সবচেয়ে বড় বিষয় হলো সংবাদপত্র আর সংবাদকর্মীদের হাতে নেই। সংবাদপত্র এখন ব্যবসায়ীদের হাতে চলে গেছে। এটাই সবচেয়ে বড় বাস্তবতা। আমাদের দেশের বেশিরভাগ সংবাদপত্রের মালিকের সরকারের বিরুদ্ধে যাওয়ার উপায় নেই। কারণ তাদের ব্যবসা রক্ষা করতে হয়,’ যোগ করেন বিএনপি নেতা।
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা (সাংবাদিকরা) ভালো করেই জানেন যে সরকার কীভাবে একের পর এক আইন করে ধীরে ধীরে ব্যবস্থা নিচ্ছে যাতে আপনারা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে না পারেন এবং তাদের বিরুদ্ধে কিছু লিখতে না পারেন।’
সাংবাদিকরা এখন আইনি হয়রানি থেকে বাঁচতে সেলফ-সেন্সরশিপ চর্চা করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সম্পাদকরা এখন বলেন এ সংবাদটি প্রকাশ করা যাবে এবং এ সংবাদটি যাবে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা চাটুকারিতা দেখি। এটি এমন পর্যায় গেছে যে বাংলাদেশে এখন পেশাদার চাটুকাররাও লজ্জা পাবেন। এগুলো সত্য কথা।’
তবে ব্যতিক্রমও রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কিছু সাংবাদিক যখনই সুযোগ পান সত্য তুলে ধরার চেষ্টা করেন। যেমনটি তারা গত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় করেছেন।
সাংবাদিকদের প্রশংসা করে ফখরুল বলেন, ‘আমাদের সাংবাদিক ভাইদের কাছ থেকে আমরা জেনেছি কীভাবে সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়েছে। আপনাদের মাধ্যমেই আমরা জেনেছি কীভাবে কোটি কোটি টাকার গোডাউন করা হয়েছে, কীভাবে বিদেশে টাকা পাচার করা হয়েছে, কীভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা উধাও হয়েছে এবং কীভাবে ব্যাংকগুলো লুটপাট করে খালি করা হয়েছে।’
বিএনপির এ নেতা সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার বিচার গত আট বছরেও শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ফখরুল ‘৩৮’ সাংবাদিকের গুম হওয়া এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সাংবাদিকদের চাকরি যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি সাংবাদিকদের চাকরি হারানো রোধ এবং নিজেদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তাগিদ দেন।