ভোটের লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত দুই মেয়র প্রার্থী আজ নগরীর হযরত শাহ আমানত (রা.)-এর মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে প্রচারণা শুরু করেন।
আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী নগরীর চাঁন্দগাও থানার বহদ্দার বাড়ি জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় এবং পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মা, পূর্বপুরুষদের কবর জিয়ারত ও হযরত শাহ আমানতের মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: চসিক নির্বাচনের প্রচারণা অনলাইনে চালাবে বিএনপি
বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী এ সময় উপস্থিত ছিলেন এবং তারা ফুলেল শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানিয়ে নৌকায় ভোট চেয়ে শ্লোগানে শ্লোগানে মুখর হয়ে ওঠেন।
স্বচ্ছ ও স্মার্ট চট্টগ্রাম সিটি গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে প্রচারণার নামা রেজাউল করিম বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদানে চট্টগ্রাম এখন উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করছে। চট্টগ্রামের উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রাকে অধিকতর মসৃণ ও গতিশীল করতে আমি আমার দলীয় প্রতীক নৌকায় আপনাদের ভোট প্রত্যাশা করছি।’
আরও পড়ুন: চসিক নির্বাচন: আ’লীগের মেয়র প্রার্থীকে মাস্ক পরিয়ে দিলেন বিএনপি প্রার্থী
পাহাড়, সমতল, সাগর ও নদীর অপূর্ব সমাহার এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও অর্থনীতির অপার সম্ভাবনা চট্টগ্রামকে জাতির জনক ও তার কন্যা শেখ হাসিনা যথাযথ মূল্যায়ন করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আর কেউ সেভাবে চট্টগ্রামকে মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কেবল ব্যর্থ হয়েছে তাই নয়, বরং চট্টগ্রামকে তারা অবহেলাই করেছেন।
রেজাউল করিমের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, সদস্য সামশুল আলম, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: চসিক নির্বাচন বন্ধ করুন: খসরু
অন্যদিকে, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি প্রার্থী ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনও জুমার নামাজ শেষে হযরত শাহ আমানতের মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন।
তিনি নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের বিশাল বহর নিয়ে নগরীর আন্দরকিল্লাহ এলাকায় সমাবেশ করেছেন।
শাহাদাত হোসেন এ সময় বলেন, ‘গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা সমুন্নত রাখতেই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু বিগত নির্বাচনগুলোতে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটচুরির যে মহোৎসব দেখেছে তাতে ভোটাররা আতঙ্কিত। তাই প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। অন্যথায় জনগণ ভোটকেন্দ্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। সারা দেশের মানুষ তাকিয়ে আছে যে এ নির্বাচন কমিশন কবে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে।’
আরও পড়ুন: চসিক নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা, শিগগিরই প্রশাসক নিয়োগ
তিনি দাবি করেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে এবং ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারলে অবশ্যই ধানের শীষের বিজয় হবে। তিনি প্রশাসন ও ইসিকে চসিক নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
তার নির্বাচনী প্রচারণা নগরীর জেল রোড মাজার গেট থেকে শুরু হয়ে বান্ডেল রোড, বংশাল রোড, ফিরিঙ্গিবাজার মোড়, কোতোয়ালি মোড়, লালদিঘিরপাড় ও বক্সিরহাট হয়ে আন্দরকিল্লার মোড়ে পথসভায় মাধ্যমে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: চসিক প্রশাসক সুজন সস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত
প্রচারণায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানসহ বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী ও সমর্থক অংশ নেন।