শনিবার শহরের জামালখানস্থ একটি রেস্টুরেন্টে এ ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি।
নির্বাচিত হলে সব পুরনো মেয়রদের সাথে সমন্বয় করে চট্টগ্রামের উন্নয়ন কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন ডা. শাহাদাত।
লিখিত বক্তব্যে শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘নগর পিতা নয়, আমি নগর সেবক হতে চাই। ছাত্র জীবন থেকে চেষ্টা করেছি চট্টগ্রামের গণমানুষের পাশে দাঁড়াতে। নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের সুখ দুঃখের সাথী হতে।’
আরও পড়ুন: চসিক নির্বাচন: বিএনপি প্রার্থীর পথসভায় গুলি ও হামলার অভিযোগ
চসিক নির্বাচন: সিএমপির ৫ ওসি পদে রদবদল
তিনি বলেন, ‘একজন ডাক্তার হিসেবে আমি স্বাস্থ্যসেবায় সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে পারব বলে মনে করি। একটি পরিচ্ছন্ন নগর এবং নগরবাসীর উন্নত জীবন গড়তে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা, নগরের সৌন্দর্যবৃদ্ধি, অসাম্প্রদায়িক পরিবেশ, নাগরিক বিনোদন, কর্মসংস্থান, পরিবেশ দূষণ ও ভেজালমুক্তকরণ, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজমুক্ত করণ, সর্বপ্রকার স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ, সর্বোপরি করপোরেশনের সম্পদের সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সুষম বণ্টন এবং নগরবাসীকে অন্যায্য কর আরোপ হতে ভারমুক্ত রাখাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হবে। অবৈধ দখল উচ্ছেদ, স্বজনপ্রীতি মুক্তকরণ এবং জলাবদ্ধতা নিরসন চ্যালেঞ্জ-উত্তরণে আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
মেয়র নির্বাচিত হলে পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘জলাবদ্ধতামুক্ত চট্টগ্রাম গড়তে শহরের মধ্যে প্রবাহিত খাল উদ্ধার করে তা পানি চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং খালের উভয় পাশ রক্ষায় বাঁধ নির্মাণ করা হবে। প্রতি বছর বর্ষার আগে শহরের সব খাল, নালা-নর্দমা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কারসহ পানি চলাচলের উপযুক্ত করে শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন করব।’
আরও পড়ুন: চসিক নির্বাচন: আ’লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১২
চসিক নির্বাচন: আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত ১
চসিক নির্বাচন: আ’লীগ প্রার্থীর অঙ্গীকার স্বচ্ছ-স্মার্ট সিটি গড়া, বিএনপি প্রার্থী চান ইসির নিরপেক্ষতা
তিনি বলেন, ‘নগরবাসীর নাগরিক অধিকার আমাদের সংবিধান নির্দিষ্ট করেছে-কিন্তু সে অধিকার দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে। সংবিধানের মৌলিক অধিকারসমূহ নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র তার বিভিন্ন অঙ্গ ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ কাজ করে থাকে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ নাগরিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যদি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসমূহ বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনই পারে বিদ্যমান উন্নয়ন অংশীদার প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে নগরবাসীর দোরগোড়ায় উন্নয়ন পৌঁছে দিতে। নির্বাচিত হলে আমি আপনাদের সাথে নিয়ে এ প্রচেষ্টায় সফল হবো ইনশাআল্লাহ।’
এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন্নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, সাবেকমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।