বৃহস্পতিবার রাতে এক জরিপের বরাত দিয়ে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে শেয়ার করা একটি পোস্টে তিনি একথা জানান।
১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এই নির্বাচন নিয়ে করা এক জরিপ সম্পর্কে জয় জানান, ‘ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের মেয়র নির্বাচন নিয়ে আমরা সাম্প্রতিক সময়ে একটি জনমত জরিপ করিয়েছিলাম। উত্তরের ভোটারদের মধ্যে জরিপে অংশ নেন এক হাজার ৩০১ জন ও দক্ষিণে অংশ নেন এক হাজার ২৪৫ জন ভোটার। ভোটার তালিকা থেকে রেন্ডম স্যাম্পলিং এর মাধ্যমে তাদের বাছাই করা হয়।’
তিনি বলেন, জরিপটি করা হয় সামনাসামনি অর্থাৎ অনলাইনের মাধ্যমে নয়। মক ব্যালটের মাধ্যমে এই জরিপটি করার কারণে আমরা বা জরিপকারী কারোরই জানার সুযোগ থাকে না কে কাকে ভোট দিল। জরিপ করার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও নির্ভুল পদ্ধতি এটি।
নির্ভয়ে, নির্দ্বিধায় মানুষ জরিপে অংশগ্রহণ করতে পারে। তারপরেও যারা কোনো অপশনই বেছে নেয় না তাদের ভোট দেয়ার সম্ভাবনাই কম কারণ সাধারণত কোনো নির্বাচনেই ১০০ শতাংশ ভোট পরে না। এই জরিপের ফলাফল ভুল হওয়ার সম্ভাবনা +-৩ শতাংশ।
জরিপের ফল অনুযায়ী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস ৫৪ দশমিক ৩ শতাংশ, বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ, জাতীয় পার্টির সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন ২ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পাবেন। এছাড়া ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটার এখনো সিদ্ধান্ত নেননি কাকে ভোট দিবেন। জরিপ অনুযায়ী, ভোট দেবেন না ৩ দশমিক ৮ শতাংশ এবং উত্তর দেননি ৪ দশমিক ২ শতাংশ ভোটার।
ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ, বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আওয়াল ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ, জাতীয় পার্টির কামরুল ইসলাম ১ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পাবেন। এছাড়া ২৫ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার এখনো সিদ্ধান্ত নেননি কাকে ভোট দিবেন। জরিপ অনুযায়ী, ভোট দেবেন না দশমিক ৫ শতাংশ এবং উত্তর দেননি ৪ দশমিক ৪ শতাংশ ভোটার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে জয় বলেন, জরিপটি করা হয় যখন দলগুলো তাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে। তাই জরিপের সাথে আসল ফলাফলের কিছুটা ভিন্ন হতেই পারে। তারপরেও সেই পার্থক্য ৫-১০ শতাংশ এর বেশি হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম। কারণ মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ১০ শতাংশ এর বেশি ভোট কোনো দলের পক্ষেই পরিবর্তন করে নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসা কঠিন।
তাই ঢাকা সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিজয় শুধু নিশ্চিতই নয়, ব্যাপক ব্যবধানে জয়ও নিশ্চিত বলে মনে করছেন সজীব ওয়াজেদ।