তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব পালনকালে কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য থাকতেই পারে। সময়ের ব্যবধানে সব সমস্যার সমাধান হবে। মামলা হোক তা ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস চাননি বলে জানতে পেরেছি এবং মামলা প্রত্যাহার করবেন বলে আমি সংবাদ পেয়েছি।’
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষে চুয়াডাঙ্গা ও নওগাঁ জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: তাপসকে নিয়ে বক্তব্য: খোকনের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে আদেশ ১৯ জানুয়ারি
ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে জনঘনত্ব নির্ধারণে পরিকল্পনা হচ্ছে: মন্ত্রী তাজুল
বর্তমান ও সাবেক মেয়রের দ্বন্দ্ব নিয়ে বিএনপির সমালোচনা বিষয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি সব কিছুতেই ইস্যু খোঁজে। বিএনপির অযৌক্তিক কোনো ইস্যু অথবা নেতিবাচক মন্তব্য দলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না এবং এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যবাহী একটি বৃহৎ দল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে নেতৃত্বে দিচ্ছেন। দুই মেয়রের মধ্যে মতপার্থক্যে দলের কোনো ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে না।’
রাজধানীর ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা হস্তান্তর নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ওয়াসা থেকে দুই সিটি করপোরেশনের নিকট হস্তান্তর করার পর এগুলোকে সংস্কার করে আধুনিক ব্যবস্থাপনার জন্য সিটি করপোরেশনেকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই দুই সিটি মেয়রকে নিয়ে মন্ত্রণালয়ে একটি মিটিং করে পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
আরও পড়ুন: তাপস মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন: সাঈদ খোকন
সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মামল
‘দুই সিটি করপোরেশন কী পরিকল্পনা করছে তা জেনে মন্ত্রণালয় থেকে যে কর্ম পরিকল্পনা করা আছে সেটিও দুই মেয়রকে অবহিত করা হবে,’ বলেন তিনি।
রাজধানীতে ডেঙ্গু মশার বৃদ্ধি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ইদানিং কিছু কিছু এলাকায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। তা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান চলছে। মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে সিটি করপোরেশনসহ ডেঙ্গু বিষয়ক আন্তমন্ত্রণালয় সভা আগামী সপ্তাহে ডাকা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৩০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে: মন্ত্রী তাজুল
তুরাগ পাড়ে নতুন শহর নির্মাণ প্রসঙ্গে তাজুল ইসলাম বলেন, তুরাগে যে শহর গড়ে তোলা হবে সেখানে ৬০ শতাংশের বেশি জলাশয় থাকবে। এ লক্ষ্যে একটি প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে। তুরাগে এ নগরী নির্মিত হলে তা সিঙ্গাপুর-থাইল্যান্ডের চেয়েও সুন্দর একটি নগরী হবে।
এর আগে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের পরিচালনায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সদস্য মো. মিজানুর রহমান এবং নওগাঁ জেলা পরিষদের সদস্য নিপন বিশ্বাস শপথ গ্রহণ করেন।