নোয়াখালী-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী মামুনুর রশিদ কিরনের সমর্থকদের হামলায় দুই সাংবাদিকসহ স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহমেদ জাবেদের ১২ কর্মী আহতের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নের মাইজদী-চৌমুহনী আঞ্চলিক মহাসড়কের গাবুয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহমেদ জাবেদ ট্রাক মার্কার গণসংযোগ শেষে ফেরার পথে গাবুয়া বাজারে পৌঁছালে নৌকা সমর্থিত মামুনুর রশিদ কিরনের লোকজন লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এ সময় এটিএন বাংলার গাড়িসহ গণসংযোগের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহী-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণ
হামলায় এটিএন বাংলার রিপোর্টার মো. নাজিবুর রহমান ও ক্যামেরাপারসন এইচ এম এহসান স্বজনসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক হুমায়ুন কবির, মো. রাশেদ, রায়হান, তোফাজ্জল হোসেন, ফররুখ আহমেদ, ইফাজ, রিপন, ইসমাইল, প্রান্ত, রুবেল ও আপন। তাদেরকে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহমেদ জাবেদ বলেন, ‘আমরা একলাশপুরের তুলাবাড়ি এলাকায় ভোটারদের সঙ্গে দেখা করে চৌমুহনী ফেরার পথে গাবুয়া বাজারে পৌঁছলে নৌকা মার্কার সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আমাদের গাড়িবহরে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে দুই সাংবাদিকসহ আমার ১০ জন কর্মী মারাত্মক আহত হয়েছেন।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-৩ আসন: নৌকার দুটি ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ
এটিএন বাংলার সাংবাদিক মো. নাজিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহমেদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার কিছুক্ষণ পর তাদের গাড়িবহরে একদল লোক হামলা করে। স্বতন্ত্র প্রার্থীকে তার লোকজন পার করে দিলে হামলাকারীরা আমাদের গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এতে আমাদের গাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়।’
সংবাদ পেয়ে বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নাজমুল হাসান রাজিব, বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিনুল হাসান, বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান রাজিব বলেন, ‘আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রকৃত হামলাকারীদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করব।’
আরও পড়ুন: বরিশালে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২৫