তিনি বলেন, ‘করোনা সংকটের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুরাবস্থা জনগণের সামনে স্পষ্ট হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় দুয়েকজনকে গ্রেপ্তার, বদলি কিংবা পদত্যাগ করিয়ে পরিস্থিতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। এমনকি দুয়েকটা মন্ত্রণালয়ে রদবদল করেও পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব নয়।’
শুক্রবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা বলেন, ‘অপ্রিয় হলেও সত্য হলো মধ্যরাতের ষড়যন্ত্রে যারা সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিল তাদের বদলির মাধ্যমে পরিস্থিতির উন্নতি হবে কারণ তারা জানে যে তাদের অবস্থা-অবস্থান-উত্থান সবই ঘটেছে দুর্নীতির মাধ্যমে।’
তিনি বলেন, পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে চাইলে জনগণের স্বার্থ রক্ষায় গোটা সরকারকেই পাল্টাতে হবে। ‘এর অর্থ প্রধামন্ত্রীসহ এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।’
রিজভী বলেন, জনগণের কাছে এখন এটা স্পষ্ট, এই সরকারের উদ্দেশ্য জনস্বার্থ নয়, উদ্দেশ্য জনগণের অর্থ সম্পদ লুটপাট ও টাকা পাচার।
তিনি বলেন, লুটপাটের কারণে দেশের ব্যাংকগুলো প্রায় দেউলিয়া হয়ে গেছে, সুইস ব্যাংকগুলোসহ বিদেশি ব্যাংকগুলোতে প্রচুর অর্থ জমা হয়েছে।
মিডিয়ার প্রতিবেদনের প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশিরা সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে ৫ হাজার ৪২৭ কোটি টাকা জমা দিয়েছে। ‘সেই টাকার মালিক কে এবং কীভাবে তারা সেখানে এত টাকা পাচার করল।’
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান সরকার বিগত এক দশক ধরে ‘রাষ্ট্রের আনুকূলেই’ ব্যাপক দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় ৯ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে।