সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘অপরাধী অপরাধ অনুযায়ী শাস্তি পাবেন। দলের হোক, দলের বাইরে হোক, কোনো অপরাধীকে পার পেয়ে যেতে দেয়নি এ সরকার। সব অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। পাপিয়ার পরিচয় যাই হোক না কেন, অপরাধী হিসেবে অপরাধ অনুযায়ী তার বিচার হবে।’
পাপিয়ার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের পেছনে যারা জড়িত ছিলেন তাদের খুঁজে বের করে সামনে আনা হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, ‘অপরাধের বিচার করতে গেলে তো পেছনের লোক খোঁজা হয়। আর তারা সামনে আসবেন না, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। এ সরকারের আমলে এ ধরনের বিচার প্রক্রিয়ায় সবই এসে গেছে। যখন আদালতে বিষয়টি যাবে তখন সেখানে সব কিছুই আসবে।’
পাপিয়া যে অপরাধে জড়িয়ে ছিলেন তা দল বুঝতে পেরেছিল কি না- জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘আগে বুঝতে পারলে তো এটা হত না।’
দলে শুদ্ধি অভিযানকালে তাকে ধরা হয়নি কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উল্টো প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এ সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধের জন্য যাদের গ্রেপ্তার করছে, আদালতে নিচ্ছে ও শাস্তি হচ্ছে সেটি কি সরকারের ইচ্ছার বাইরে হচ্ছে? সরকার এসব ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতিতে আছে। ফলে আজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পাপিয়ার বাড়ি ও বিলাসবহুল হোটেল কক্ষে র্যাবের অভিযান
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কাজ করার স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘অপরাধ, অন্যায়, অপকর্ম যারা করবেন, পরিচয় যা-ই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এর আগে কোনো সরকারের আমলে দলীয় অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছে এমন কোনো নজির নেই।’
পাপিয়ার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা সম্পর্কে ক্ষমতাসীন দলের এ শীর্ষ নেতা বলেন, ‘সাংগঠনিকভাবে তাকে এক্সপেল করা হয়েছে। এক্সপেল মানে আজীবন। আর সাসপেন্ড মানে সাময়িক। সাংগঠনিকভাবে তাকে আজীবনের জন্য এক্সপেল করে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নিজ দলের অপরাধীদেরও ছাড় দিচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ দেশে আগেও সরকার ছিল। ১৯৭৫ সালের পর ২১ বছর ক্ষমতায় ছিলাম না, তখনও সরকার ছিল। পার্থক্য এই যে অন্যান্য সরকার অপরাধী ও অপকর্মকারীদের বিচার বা বিচারের আওতায় নিয়ে আসার বিষয়টি অবহেলা ও উপেক্ষা করেছে। অপরাধীদের বিষয়ে তাদের আচরণ ছিল দুর্বল। সে কারণে অপরাধী-অপকর্মকারীরা শাস্তি পায়নি। তাদের দলের লোকের কোনো বিচার করেনি।’
‘কিন্তু এখন আমরা দেখিয়েছি অপরাধী দলের হলেও কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না। সরকারে পক্ষ থেকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে নির্দেশ দেয়া আছে, অপরাধীর যে পরিচয়ই হোক তার অপকর্মের জন্য যেন ব্যবস্থা নেয়া হয়, অপরাধের বিচার করা হয়,’ যোগ করেন তিনি।