সোমবার সকাল সোয়া ১১টায় পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড ছায়কোট এলাকায় ওই সংঘর্ষ ঘটে।
আহতরা হলেন- নৌকা প্রতীক সমর্থিত ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি ছায়কোট এলাকার আবুল কালাম (৪০), একই এলাকার নুরুল ইসলাম (৩৮), আল-আমিন (৩০), মাহাবুব (৩০), আলী হোসেন (৪৫), আবুল হাসেম (৩২), শহীদুল ইসলাম (২৫) এবং জগ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সমর্থিত হারং এলাকার শরীফুল ইসলাম (২০), রাসেদুল ইসলাম (২৮), মো. সোহান (১৬), শামীম সরকার (৪০)।
আরও পড়ুন: পৌর নির্বাচন: শৈলকুপায় ২ মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ৮
আহত ১১ জনের মধ্যে দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল থেকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী শামীম হোসেন কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ৭নং ওয়ার্ড এলাকায় প্রচারণা শুরু করেন। সকাল সোয়া ১১টার দিকে নৌকা সমর্থিত স্থানীয় কিছু লোকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারণা নিয়ে উস্কানিমূলক কথা বলে। এ সময় দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরুর এক পর্যায়ে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
আরও পড়ুন: পৌর নির্বাচন: ছাতকে প্রথম নারী মেয়র প্রার্থী
৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস ছালাম অভিযোগ করেন, ‘স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী শামীম হোসেন প্রতিদিন দলবল নিয়ে প্রচারণার নামে মাঠে আতংক সৃষ্টি করে আসছে। সোমবার আমার ওয়ার্ডে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশিয় অস্ত্র ও বহিরাগত লোকজনসহ গাড়িবহর নিয়ে আমাদের লোকজনের উপর হামলা করে। আমার ভাই কালাম রিকশা করে চান্দিনা যাওয়ার সময় তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়।’
আরও পড়ুন: পৌর নির্বাচন: মাগুরায় কাউন্সিলর প্রার্থীর উপর হামলার অভিযোগ
অপরদিকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী শামীম হোসেনের অভিযোগ, ‘আমি গণসংযোগ করতে ছায়কোট এলাকায় পৌঁছালে ছালাম কাউন্সিলরের নেতৃত্বে নৌকার লোকজন আমার নেতা-কর্মীর উপর হামলা চালায়। এ সময় আমাকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এতে আমার ৬ জন নেতা-কর্মী আহত হয়।’
আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী শওকত হোসেন ভূইয়া জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন প্রতিদিন গাড়ি বহর নিয়ে গণসংযোগের নামে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করছেন। আর যেখানেই নৌকা সমর্থিত লোকজন পাচ্ছেন তাদেরকে মারধর করছেন।
আরও পড়ুন:পৌর নির্বাচনে বিএনপিকে ভোটাররা প্রত্যাখান করেছেন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসউদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, মেয়র প্রার্থীরা যেখানে গণসংযোগে যাবেন তার একটি তালিকা পূর্বেই থানায় দেয়া কথা। কিন্তু তারা সেটা করেন না। সোমবার দুই গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পাওয়ার সাথে সাথেই আমার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত কোন অভিযোগ করেননি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চান্দিনা পৌর নির্বাচন: মেয়র পদে জন্য লড়ছেন ৫ প্রতিদ্বন্দ্বী