লুটকারীদের সাধারণ ক্ষমার প্রস্তাব দেয়ায় সরকারের নিন্দা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট লুটেরা বান্ধব, সাধারণ মানুষের জন্য নয়।
তিনি বলেন, ‘যারা জনগণের টাকা চুরি, ছিনতাই ও লুটপাট করেছে এবং পিকে হালদারের মতো তা বিদেশে জমা করেছে তাদের সাহায্য করবে এ বাজেট। তারা এখন ৭ শতাংশ কর দিয়ে বিদেশ থেকে কালো টাকা আনতে পারবে এবং কেউ এর বিরুদ্ধে কোনও প্রশ্ন তুলতে পারে না।’
শুক্রবার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বক্তব্যে বিএনপি নেতা আরও বলেন, অর্থ পাচারকারীরা দুদকের হাতে ধরা পড়বে না এবং কর দিলে তাদের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট কোনো প্রশ্ন তুলবে না।
আরও পড়ুন: এটি লুটের বাজেট: ফখরুল
ফখরুল বলেন, সরকার এখন জনগণের পকেট কেটে নিজেদের পকেট ভারী করছে, দেশের অর্থনীতি ও সম্ভাবনাকে ধ্বংস করছে।
২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটে প্রস্তাবিত বিধান অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ৭ থেকে ১৫ শতাংশ করের বিনিময়ে বৈধ করা যাবে।
তিনি বলেন, বাজেট নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, বাড়ি ভাড়া, পরিবহন ভাড়া এবং সারের দাম কমাতে সাহায্য করবে না। গ্যাসের দাম যেমন বাড়বে, তেমনি সার ও সব পণ্যের দামও বাড়বে। কিন্তু মানুষের ক্রয়ক্ষমতা তেমন বাড়েনি।
বাজেটে জনপ্রশাসনে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের পকেট থেকে টাকা কেটে পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট, ডিসি, ইউএনও এবং সচিবালয়ে যারা কাজ করেন তাদের বেতন ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সরকার এটা করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ফলে দেশের ৪২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে।