তিনি বলেন, ‘ধর্ষণকারীদের জন্য মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির খবরের পাশাপাশি, আজকের (বুধবারের) সংবাদপত্রগুলোতে সাতটি ধর্ষণ ঘটনার সংবাদ রয়েছে। ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হবে তা মানুষ সাত দিন আগেই জানত, কিন্তু ধর্ষণ তো থেমে নেই। এর কারণ হলো দেশে আইন প্রয়োগ করা হয় না।’
এক আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের আওতায় ধর্ষণকারীদের ৯০ দিনের মধ্যে শাস্তি দেয়ার আইন ও বিধান ছিল, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের মামলার বিচার প্রক্রিয়া নয় বছরেও শেষ হয়নি।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের মওলানা আকরাম খাঁ হলে জাতীয়তাবাদী সমবায় দলের দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনুষ্ঠানিকতার উদ্বোধন করেন গয়েশ্বর।
এসময় তিনি বলেন, ‘বিচার প্রক্রিয়া কার্যকর করতে সক্ষম হলে এবং ৯০ দিনের মধ্যে বিচার কাজ শেষ করতে পারলে ধর্ষণের জন্য মৃত্যুদণ্ডের প্রয়োজন হত না, কারণ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মানেই কিন্তু আমৃত্যু কারাদণ্ড।’
আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকলে শাস্তি বাড়িয়েও কোনো ফল আসবে না বলে মন্তব্য করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘কাগজে কলমে অনেক আইন আছে। সংবিধানে যা আছে এবং যতটুকু আইন আছে তা যথেষ্ট ছিল বা যথেষ্ট আছে। কিন্তু সেই আইনের প্রয়োগ নেই।’
সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দেশে আইনের শাসন ও সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য একসাথে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির এই নেতা।