তিনি দলের শৃঙ্খলা ও নিয়মকানুন মেনে রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘যারা অনিয়মের সাথে জড়িত থাকবে, তাদের বাদ দিতে হবে। ফ্রি স্টাইলে কোনো কিছুই করা যাবে না।’

আরও পড়ুন: চসিক নির্বাচনে সরকার হস্তক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের

চসিক নির্বাচন: ৫৬ এজেন্টকে গ্রেপ্তারের অভিযোগ বিএনপি প্রার্থীর

রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের ‘মহিলা বিষয়ক উপকমিটি’র পরিচিতি সভায় নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের এ বার্তা দেন।

এর আগে, উপকমিটির নেতারা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।

কাদের বলেন, দলের নাম ব্যবহার করে কেউ অপকর্মের সাথে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন:বিদ্রোহী প্রার্থীদের মদদ দেয়ায় জনপ্রতিনিধিরা জড়িত থাকলে ব্যবস্থা: কাদের

চসিক নির্বাচন: সাধারণ ছুটি না থাকলেও বন্ধ থাকছে ইপিজেড, কেইপিজেড

একজন ব্যক্তি একাধিক কমিটিতে থাকতে পারবেন না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগে যদি কোনো সহযোগী বা অন্য কোনো কমিটিতে নাম থাকে তাহলে পদত্যাগ করে আসতে হবে।

শেখ হাসিনার সরকারকে নারীবান্ধব সরকার হিসেবে উল্লেখ করে কাদের বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে নারী অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা কঠোর ভূমিকা নিয়েছেন। আওয়ামী লীগে তাদের দরজা চিরকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের দেশের উন্নয়নে সব নারীবান্ধব কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আবারও বলেন, যারা দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন এবং এখনও মাঠে আছেন তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবস্থান স্পষ্ট। ‘বিদ্রোহীদের যারা মদদ অথবা উস্কানি দিচ্ছেন তাদেরও একই শাস্তি পেতে হবে।’

ওবায়দুল কাদের বিদ্রোহী ও উস্কানিদাতাদের অনতিবিলম্বে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘না হয় দল কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ না করে এবং নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টি করলেই বিএনপির আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা থাকত। তারা নামে মাত্র নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করতে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে।’

আরও পড়ুন: চসিক নির্বাচন: নগরজুড়ে চলছে বিজিবির টহল

সন্ত্রাসী, ‘অতিউৎসাহি’ পুলিশ চসিক নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে: অভিযোগ বিএনপির

ভোটের সময় বিএনপি এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল বলে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অভিযোগ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘যেখানে কেন্দ্রে তাদের এজেন্টই ছিল না সেখানে এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগ অবান্তর ও ভিত্তিহীন।’

‘নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে নির্বাচন কমিশন নিয়ে মির্জা ফখরুলের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য শিষ্টাচার বহির্ভূত,’ বলেন তিনি।

চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার শুরু থেকে বিএনপির প্রার্থীসহ নেতা-কর্মীরা মাঠে যে ধরনের সুযোগ সুবিধা পেয়েছে তা বিএনপির আমলেও পায়নি বলে মন্তব্য করেন কাদের।