শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পরে গুরুতর জখম ইউপি চেয়ারম্যানের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সরিষামুড়ী ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি বাজার সংলগ্ন এক বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা ইমাম হাসান শিপন জমাদ্দার। এ সময় কালিকাবাড়ি বাজারে পৌঁছালে ধারাল অস্ত্র দিয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এতে গুরুতর জখম হন তিনি। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মো. তারেক হাসান বলেন, হামলায় আহত ইউপি চেয়ারম্যানের অবস্থা গুরুতর। ধারাল অস্ত্রের আঘাতে তার বাম পায়ের হাড় এবং ডান পায়ের রগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ডান হাতেও গুরুতর জখম হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান শিপনের শ্যালক উজ্জ্বল দাবি, পূর্বপরিকল্পিতভাবে সাবেক চেয়ারম্যান ইউসুফ শরীফের নেতৃত্ব হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা করা হয়েছে।
এ সময় বেতাগী থানার এসআই আলাউদ্দিনসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও হামলাকারীদের প্রতিহত করেনি বলে অভিযোগ করেছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।
স্থানীয়রা জানান, সরিষামুড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফ শরীফের সাথে ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ জেলা নেতাদের উপস্থিতিতে শিপনের নেতৃত্বে ইউসুফ শরীফের ওপর হামলা করেন। এ ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় পারবর্তীতে বেতাগীতে এক সভায় ইউসুফ শরীফকে লাঞ্ছিত করে শিপন।
ওই ঘটনার জেরে আজকের এ হামলা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা এলাকাবাসীর।
এ বিষয়ে বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার খবর শুনেই আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। কারা তার ওপর হামলা চালিয়েছে তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া না গেলেও নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রতিপক্ষরা এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে আমাদের ধারণা। তাই সন্দেহভাজন আসামিদের গ্রেপ্তারে আমরা অভিযান চলাচ্ছি।