তিনি বলেন, ‘আজকে গণতন্ত্র রক্ষা দিবস। বিএনপি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ তাদের দোসররা সেদিন নির্বাচনের বিপক্ষে ছিল অর্থাৎ তারা সেদিন গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চেয়েছিল। তবে সব প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে দেশের মানুষ স্বত:স্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল এবং সেই নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে বিজয় অর্জন করেছিল। এজন্য এটা পরিষ্কার যে, আজকে গণতন্ত্র রক্ষা দিবস।’
রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম (বিসিজেএফ) আয়োজিত ‘মাদ্রিদ জলবায়ু সম্মেলন পর্যালোচনা ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অথিতি হিসেবে বক্তব্য দেয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালেও বিএনপি গণতন্ত্র হত্যা করতে চেয়েছিল কিন্তু সেটা তারা পারেনি। ২০১৮ সালে একই কাজ করতে চাইলে, সেখানেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। এখন রাজনৈতিকভাবে আমাদেরকে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বিএনপি।’
তিনি বলেন, গতকালও (রবিবার) আমরা দেখেছি বিএনপি দেড়শ লোকের মিছিল নিয়ে তাদের দিবস পালনের পক্ষে কথা বলেছে। ‘মাত্র দেড়শ লোক নিয়ে মিছিল করার এই ঘটনাই প্রমাণ করে তাদের প্রতি জনগণের সমর্থন কোন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে।’
বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাকে অভ্যন্তরীণ কোন্দল উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অতীতেও দেখেছি বিএনপি যখন কোনো আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তখনই পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে, নিজেরা নিজেরা মারামারি করেছে। এটি তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ছাড়া আর কিছুই নয়।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী মনোনয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে জয়লাভের জন্য আমরা যে প্রার্থীকে যোগ্য এবং জনগণের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য মনে করেছি তাকেই মনোনয়ন দিয়েছি।’