বুধবার সচিবালয়ে বিভিন্ন প্রকল্প ও মন্ত্রণালয়ের অধীনে সকল কাজের অগ্রগতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণ বিএনপির নির্বাচন প্রত্যাখ্যানের হরতালকেই প্রত্যাখ্যান করেছে। যারা হরতাল ডেকেছে তাদের একজনকেও রাস্তায় দেখা যায়নি।’
‘আমাদের গণতন্ত্র নিখুঁত সেটা বলব না। প্রতিনিয়ত তার উন্নতি হচ্ছে। নিখুঁতভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি সেটা বলতে পারব না। এটি বিকাশমান প্রক্রিয়া। তবে নির্বাচন নিয়ে যে শঙ্কা ছিল তা হয়নি। সেদিক থেকে ভালো নির্বাচন বলা যায়,’ যোগ করেন কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন, ‘নির্বাচনে কারচুপির কোনো প্রমাণ পর্যবেক্ষকরা দিতে পারেননি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে বড় দাগের সংঘাত হয়, এবার বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ছাড়া বড় ধরনের কোনো সংঘাত হয়নি। নির্বাচন ছিল কারচুপি ও জালিয়াতি মুক্ত।’
‘ফখরুল সাহেব কেন এতো ক্ষেপে গেলেন জানি না। তাদের উদ্দেশ্য কী ছিল? কেন্দ্র দখল করে জালিয়াতি করে জেতার? এটা সম্ভব না, এই মেশিনে কারচুপি, জালিয়াতির সুযোগ নেই। ইভিএমে ভোট করাই হয়েছে কারচুপি, জালিয়াতি যেন না হয় সে জন্য। নির্বাচনে তাদের লোক দেখলাম না। মিছিলে তাদের অনেক লোক ছিল, নির্বাচনের দিন গেল কোথায়?’ প্রশ্ন করেন কাদের।
ফলাফল পাল্টে দেয়ার বিষয়ে কাউন্সিলর প্রার্থীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনে যেভাবে আশঙ্কা করা হয়েছিল, সেভাবে বিদ্রোহী প্রার্থীদের জয়জয়কার কিন্তু হয়নি। ১৩ জন বিদ্রোহী প্রার্থী জিতেছেন। তারা যে সুবিধা করতে পেরেছেন তা নয়। বেশিরভাগই কাউন্সিলর হয়েছেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুই সিটি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছেন, এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব হিসেবে নিজের ব্যর্থতার জন্যই এ কথা বলেছেন তিনি। তিনি সফলতা দেখাতে পারেননি। তবে অগোছালো, নেতৃত্বহীন থাকা সত্ত্বেও বিএনপি ভালো ভোট পেয়েছে।’