মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চকবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান এ আদেশ দেন।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর চকবাজার থানায় ইরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক চারটি মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: অস্ত্র মামলা থেকে ইরফান সেলিমকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত
ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন দাখিল পেছাল
চকবাজার থানার পরিদর্শক (অপারেশন) দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক রাখার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে দুটি করে মামলা করেন।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে ইরফান সেলিমকে এক বছরের কারাদণ্ড এবং তার দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাসের সাজা দেয়।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানের ওপর ‘হামলা’র অভিযোগে ডিএসসিসি’র ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমকে দেবদাস লেনের বাসা থেকে গত বছরের ২৬ অক্টোবর গ্রেপ্তার করে র্যাব।
লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনাম কয়েকজনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২৫ অক্টোবর রাত পৌনে ৮টার দিকে রাজধানীর নীলখেত থেকে কিছু বই কিনে স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে নিজেদের মোহাম্মাদপুরের বাসায় ফিরছিলেন লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ। পথে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতারের কাছে একটি প্রাইভেট কার তাদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। পরবর্তীতে প্রাইভেট কার থেকে কয়েকজন বেড়িয়ে এসে নৌ-কর্মকর্তা ওয়াসিফকে মারধর করে এবং তার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিতে থাকে।
আরও পড়ুন: হত্যাচেষ্টা মামলায় ইরফান সেলিমকে কেন জামিন দেয়া হবে না: হাইকোর্ট
অস্ত্র মামলায় ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষীর জামিন নামঞ্জুর
নৌ কর্মকর্তাকে মারধর: ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড ৩ দিনের রিমান্ডে
এদিকে, নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে সরকার ইরফানকে কাউন্সিলর পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।
৫ জানুয়ারি ঢাকার একটি আদালত এই মামলায় ইরফান সেলিমের জামিন মঞ্জুর করে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আরেকটি আদালত এ ঘটনায় দায়ের করা একটি অস্ত্র মামলা থেকে ইরফানকে অব্যাহতি দেয়।