তিনি বলেন, ‘মৌলবাদদের পেছনে কারও হাত থাকলে আওয়ামী লীগের আছে। রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে বর্তমান সরকার মৌলবাদকে উস্কে দিচ্ছে। মৌলবাদের উত্থান হয়েছে আওয়ামী লীগের আমলে।’
ঠাকুরগাঁও শহরের তাঁতিপাড়ায় নিজ বাসভবনের সামনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘জঙ্গি আস্থানার কথা বলে নাটক সাজাচ্ছে। বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই।’
বিএনপি ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাসী উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি মৌলবাদে নয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। দেশে মৌলবাদের সাম্প্রতিক উত্থানের জন্য আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ দায়ী বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ভাস্কর্য নিয়ে আমি কোনো কথা বলব না, কারণ ভাস্কর্য আমাদের কোনো ইস্যু না, আমি কথাই বলতে পারছি না, সেটাই ইস্যু। গণতন্ত্রহীনতা বিএনপির আন্দোলনের ইস্যু।’
সরকার দেশে বাকস্বাধীনতা হরণ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করছে সরকার। প্রথম আলোর সম্পাদকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার চার্জশিট দেয়া হয়েছে, ফটো সাংবাদিকসহ অনেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাদের চাপে রাখা হচ্ছে যাতে করে তারা আওয়ামী সরকারের দুঃশাসনের কথা জনগণের সামনে তুলে ধরতে না পারেন।’
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মির্জা ফয়সাল আমিন, আসন্ন পৌর নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী শরিফুল ইসলাম শরিফসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ভাস্কর্য ইস্যু নিয়ে চলমান গোলযোগের জন্য বিএনপি দায়ী বলে আওয়ামী লীগের অভিযোগের জবাবে মির্জা ফখরুল আওয়ামী লীগের ভূমিকাকে ‘ডাবল স্ট্যান্ড’ বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বিগত নির্বাচনে মৌলবাদী দলগুলোর সাথে আওয়ামী লীগ জোট গঠন করে এবং ফতোয়া দেয়া যাবে মর্মে চুক্তিও করে।
চলমান পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশে এই নির্বাচন কমিশন ও আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যা হয় তাই হচ্ছে। তবুও আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি এ কারণে যে বিএনপি গণতন্ত্র ও নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা পরিবর্তনে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল। একদিকে নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা জনসাধারণের কাছে যাওয়ার সুযোগ পাই অন্যদিকে এটা আমাদের চলমান গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের অংশ।’
বিএনপির প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক বলে উল্লেখ করেন তিনি।