ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলার অধিকার যে কোনো রাজনৈতিক দলের আছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার আলমগীর।
তবে কোনো ধরনের উস্কানি ও নৈরাজ্য সৃষ্টি না করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন এই কমিশনার।
তিনি বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে অংশ নিতে না চায়, সেটা তাদের ইচ্ছা। তারা তাদের রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসাবে যোগ নাও দিতে পারে। তারা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যেতে বলতে পারেন। এখানে কোনো সমস্যা নেই। তবে এটা শান্তিপূর্ণভাবে বলতে হবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে ইনসানিয়াত বিপ্লবের করা রিটের শুনানি বুধবার
বুধবার(২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আলমগীর অবশ্য বলেন, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যেতে বলার সময় কোনো ধরনের উস্কানি, নাশকতা ও নৈরাজ্য করা যাবে না।
তিনি বলেন, এটি একটি গণতান্ত্রিক দেশ যেখানে যে কেউ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার অধিকার রাখে, যেমনটি ব্যক্তির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকার রয়েছে।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৭টি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে এবং বিএনপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচন বর্জন করছে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও সুষ্ঠু হবে: সিইসি
সম্প্রতি ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের ১৪টি জেলা সফর প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বলেন, সব জায়গায় নির্বাচনী পরিবেশ ভালো এবং কোথাও কোনো সমস্যা নেই।
তিনি বলেন, 'সব জায়গায় শান্তি ও শৃঙ্খলা বিরাজ করছে। সেখানে জনজীবন খুবই স্বাভাবিক। আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। আমি ভোটারদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ দেখেছি।
তিনি বলেন, প্রশাসন, গোয়েন্দা ও পুলিশ তাদের জানিয়েছে যে, কোথাও নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হতে পারে এমন কোনো হুমকি নেই।
ট্রেনে হামলাসহ সহিংসতার বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে আলমগীর বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ও নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী নৈরাজ্য সৃষ্টি করা অপরাধ। তাই কেউ অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় ইসি।
কমিশনার বলেন, দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার মানুষের মধ্যে ইতোমধ্যে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে অনিয়ম রোধে ৬৫৩ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ ইসির