শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ অনশন কর্মসূচি শুরু করে তারা।
অনশনরত ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন, আলমগীর হোসেন হৃদয়, রাফসান জামিল রাজু, মোহন আলি খান, কনিক স্বপ্নীল।
ছাত্রলীগের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে- জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের জন্য মানবিক ফান্ড গঠন করে আর্থিক বৃত্তি প্রদান করতে হবে এবং সার্বিক বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করে বাস্তবসম্মত আর্থিক বৃত্তি নির্ধারণ করতে হবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে করোনা সংকটকালীন সময়ে বাসা ভাড়া কমানোর ব্যবস্থা করে এক মাসের ভিতর মালিক বরাবর চিঠি দিতে হবে।
বাসা ভাড়া জটিলতার কারণে যে সকল শিক্ষার্থীরা বাসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে তাদের প্রয়োজনীয় মালামাল নিজ নিজ বিভাগে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ক্যাম্পাসে করোনাভাইরাস পরীক্ষাগার, সার্বক্ষণিক ডাক্তার ও বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহসহ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে। ছাত্রীদের জন্য নির্মিত একমাত্র বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলার দিন থেকে আবাসিক হল হিসেবে খুলে দিতে হবে।
অনশনরত ছাত্রলীগ কর্মী কৌনিক স্বপ্নীল বলেন, করোনাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। অনেকে বাসা ভাড়া দিতে না পারায় বাড়িওয়ালা তাদের বাসা ছেড়ে দিতে বলছে। আবার অনেকে বাসাভাড়া দিতে না পেরে নিজেরাই বাসা ছেড়ে দিচ্ছে। কিন্তু তাদের বইপত্র, আসবাবপত্র রাখার কোনো জায়গা নেই।
‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ছাত্রলীগ পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করে। কিন্তু দাবি জানানোর এক সপ্তাহ পার হলেও কোনো সমাধান তারা দেয়নি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে অনশনে বসেছি,’ যোগ করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাশ ভবনে মেডিকেল সেন্টার স্থাপনের বিষয়ে এ ছাত্রলীগ কর্মী বলেন, মেডিকেল সেন্টার উন্নয়নের বিষয়টিতে আমরা আনন্দিত কিন্তু সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের অফিস ও ছাত্রসংসদের অফিস কক্ষ সরিয়ে নয়। মেডিকেল সেন্টার অন্য কোনো জায়গায় সম্প্রসারণ করতে হবে। মেডিকেল শিক্ষার্থীদের দৈহিক সেবার জন্য যেমন প্রয়োজন, সাংস্কৃতিক সংগঠন শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশের জন্যও প্রয়োজন। একটিকে রুদ্ধ করে আরেকটির উন্নয়ন চলে না। মেডিকেল সেন্টারের জন্য বিকল্প জায়গা দেখতে হবে।