তিনি বলেন, ‘যখনই আমরা সংবাদপত্র পড়ি বা টিভি চ্যানেলে খবর দেখি তখনই হতাশ হই ও কষ্ট পাই। কারণ আমাদের শিশুরা এখন ঘৃণা বা সন্ত্রাসের বাইরে থাকতে পারছে না। আমাদের শিশুরা অহরহ হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। আমরা বুঝতে পারি না কীভাবে ফুলের মতো একটি শিশুকে হত্যা ও নির্যাতন করা যায়।’
একাদশ জাতীয় শিশু শিল্পী প্রতিযোগিতা ‘শাপলাকুঁড়ি-২০১৯’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ‘আমরা কেমন দেশ ও সমাজ নির্মাণ করেছি যেখানে নিষ্পাপ শিশুদের ভালোবাসতে পারছি না ও তাদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে পারছি না? এমনকি স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরও আমরা এমন একটি সমাজ নির্মাণ করতে পারিনি যেখানে আমাদের শিশুরা মানুষকে ভালোবাসবে, একে অপরকে ভালোবাসবে, ভালোবাসবে দেশ ও নিজের মাতৃভূমিকে।’
ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ মিয়নায়তনে জিয়া শিশু একাডেমি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বর্ণনা করে ফখরুল বলেন, চারদিকে অনিশ্চয়তা, অস্থিতিশীলতা ও ভয় বিরাজ করছে। ‘এমন বাংলাদেশ গড়তে আমরা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করিনি। স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর দেশের এমন চিত্র দেখা আমরা আশা করিনি।’
মুক্তিযোদ্ধারা বাসযোগ্য, সুখী, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্নে দেশ স্বাধীন করেছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বপ্ন সফল হয়নি। আমরা অনেক রাস্তাঘাট ও অট্টালিকা তৈরি করেছি এবং আমাদের জীবনযাত্রা অনেক বদলে গেছে। কিন্তু এখনো আমরা শিশুদের জন্য নিরাপদ বাসভূমির দেশ নির্মাণ করতে পারিনি। এর চেয়ে বড় লজ্জা আর কী হতে পারে?’
বিএনপি মহাসচিব ঘৃণা, বিদ্বেষ ও সহিংসতা দূর করে শিশুদের জন্য শান্তিপূর্ণ, সুখী ও বাসযোগ্য সমাজ নির্মাণে সবাইকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি ইতিহাস ধ্বংস এবং শিশুদের সামনে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনের জন্য সরকারকে অভিযুক্ত করে বলেন, এটা দুঃখজনক যে তার অবদানকে অস্বীকার ও তাকে ছোট করতে চাওয়া হয়। কিন্তু জাতি তার অবদান মনে রেখেছে এবং তাকে মূল্যায়ন করে।
শিশুদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘তোমাদের জিয়াউর রহমান সম্পর্কে অনেক খারাপ ও বিকৃত কথা শুনতে হয় যা সঠিক নয়। তিনি সেই ব্যক্তি যিনি আমাদের দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন ও মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিলেন এবং নিজে যুদ্ধ করেছেন।’
তিনি শিশুদের কল্যাণে শিশু একাডেমি প্রতিষ্ঠা ও নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতা চালুসহ জিয়াউর রহমানের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা স্মরণ করেন।
ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান চেয়েছিলেন শিশুরা যাতে জ্ঞান অর্জন করে নিজেদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলে এবং দেশপ্রেমের চেতনায় দেশকে নির্মাণ করে।