খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, শেখ হাসিনার আমলে দেশের মানুষ শান্তিতে আছে। ২০০৮ সালের সঙ্গে ২০২৩ সালের আর্থ-সামাজিক অবস্থা তুলনা করলে বলতে হবে এখন মানুষ হাজার গুণ ভালো আছে।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দুপুরে নিয়ামতপুর কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ নিয়ামতপুর উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চাল আমদানিতে সরকারকে এক ডলারও ব্যয় করতে হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন তিনি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিবেন, তিনি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস তৈরি করে দিয়েছেন। তাদের সন্মানীভাতা বাড়িয়েছেন।
গৃহহীণ মানুষের ঘর তৈরি করে দিয়েছেন। বয়স্কদের ভাতা দিচ্ছেন, বিধবারাও ভাতা পাচ্ছেন। এমন কোন খাত নেই যেখানে প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য- সহযোগিতা পৌঁছেনি।
দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। এসময় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছাতে যুবলীগের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান।
বিএনপির একদফা আন্দোলন কি জনগণ জানতে চায় উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, তত্বাবধায়ক সরকার এ দেশে আর আসবে না।
তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অবসান হয়েছে আদালতের নির্দেশে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকবেন এবং নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।
কৃষকবান্ধব সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে দেশে খাদ্য সংকট হয়নি, হবেও না। কৃষকের জন্য সরকার ভর্তূকিমূল্যে সার দিচ্ছে। বিনামূল্যে বীজ ও কৃষি উপকরণ দিচ্ছে।
কৃষক তার ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে। অথচ বিএনপির আমলে সার চেয়ে কৃষক গুলি খেয়েছিলো। প্রাণ গিয়েছিল ১৯ জন কৃষকের। তারা বলতো বেশি ফসল ফলালে বিদেশি সাহায্য পাওয়া যাবে না।
তারা এদেশকে ভিক্ষুকের দেশ বানাতে চেয়েছিল।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এবছর দেশে বোরো ও আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। খাদ্য ঘাটতি নেই। আমদানির দরকারও হবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না। এদেশের কৃষক প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়েছে।
কৃষক উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশে আর দুর্ভিক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন: খাদ্যশস্য ধারণক্ষমতা ৩৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করা হবে: খাদ্যমন্ত্রী