সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির জনাকীর্ণ আদালতে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলা ৩ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ
রায়ে ৫০ আসামির মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ তিন আসামির ১০ বছর করে এবং বাকি ৪৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। সর্বনিম্ন সাজা দেয়া হয়েছে চার বছর।
আলোচিত এই মামলায় রায় ঘোষণার সময় আজ ৩৪ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এক আসামি অন্য মামলায় কারাগারে আছেন। বাকি ১৫ জন পলাতক।
আজ সকাল থেকে সাতক্ষীরা আদালত চত্বরে কয়েক প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন ছিল। সকাল ১০টার দিকে জেলা কারাগার থেকে ৩৪ আসামিকে প্রিজনভ্যানে করে আদালতে হাজির করা হয়। সোয়া ১০টার দিকে আদালতের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। বিচারক ১০টা ২১ মিনিটে রায় ঘোষণা শুরু করেন।
আরও পড়ুন: সিটি নির্বাচনে আরেকটি ‘পরাজয়ের’ আশঙ্কায় বিএনপির নেতারা
রায়ের পরপরই আসামিদের সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
রায়ের পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত অ্যার্টনি জেনারেল এসএম মুনির সন্তোষ প্রকাশ করেন। অন্যদিকে, আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুল মজিদ সংক্ষুব্ধ হয়ে জানান, এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে তারা আপিল করবেন।
এর আগে, গত ২৭ জানুয়ারি এই মামলায় আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হলে ওই দিন আদালতে হাজির ৩৪ আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে বিএনপির নেতাসহ আটক ১৩
প্রসঙ্গত, ধর্ষণের শিকার এক নারীকে দেখতে শেখ হাসিনা ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। ঢাকায় ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়া বিএনপি কার্যালয়ের সামনে তার গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ উঠে তৎকালীন সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭০-৭৫ জনের নামে থানায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: বেগম জিয়ার সাফাই গাইতে খুনের দায় নিচ্ছে বিএনপির নেতারা: তথ্যমন্ত্রী
পরে আদালতের নির্দেশে এক যুগ পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এরপর ২০১৫ সালের ১৭ মে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০ জনকে সাক্ষী রেখে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেখ সফিকুর ইসলাম।