রবিবার ভোরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরে দুপুরে রামপালের বর্ণি গ্রামে তড়িঘড়ি করে তাকে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় ওই জামায়াত নেতার বাড়ি ও আশপাশের এলাকা পর্যবেক্ষণে রেখেছে উপজেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগ।
ওই জামায়াত নেতার সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিদের খুঁজে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
পরিবারের বরাত দিয়ে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুকান্ত কুমার পাল জানান, অনেক আগে থেকে শেখ নাসের উদ্দিন শ্বাসকষ্ট এবং অ্যাজমা রোগে ভুগছিলেন। ওই সমস্যা নিয়ে তিনি একবছরে কয়েক দফা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। কয়েকদিন আগে শ্বাসকষ্টের সাথে তার সর্দি দেখা দেয়। বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রবিবার ভোরে খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু সেখানে জরুরি বিভাগে নেয়ার আগেই তার মৃত্যু হয় বলে নাসেরের পরিবার জানিয়েছে। সেখান থেকে তার মৃতদেহ বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার বর্ণি গ্রামের বাড়িতে আনা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরও জানান, খবর পেয়ে নমুনা সংগ্রহ করার জন্য তারা দ্রæত সেখানে ছুটে যান। কিন্ত তারা যাওয়ার আগেই বেলা ২টার দিকে তাকে দাফন করা হয়েছে।
নাসেরের বর্ণি ও শ্রীফলতলা গ্রামের বাড়ি এবং আশপাশের এলাকা পর্যবেক্ষণে রেখেছে প্রশাসন। একই সাথে যে সব ব্যক্তি নাসেরের সংস্পর্শে এসেছে তাদেরকে খুঁজে ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
রামপালের বর্ণি ও শ্রীফলতলা এলাকা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার কুমার পাল।