বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মঙ্গলবার অভিযোগ করেছেন, সার্চ কমিটি বিদায়ী কমিশনের মতো সরকারের আজ্ঞাবহ আরেকটি নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘আমি দেখলাম ৩২২ জনের তালিকা। কথাটা হচ্ছে যে, নির্বাচন কমিশনে যারা যাবেন তারা অত্যন্ত যোগ্য দক্ষ লোক হবেন। আগে দেখেছি, নাম প্রস্তাব করা হয়, তাদেরকে বলা হয়, তারপর তারা রাজি হন। এখন সব একেবারে মিছিল করে যাচ্ছেন সার্চ কমিটির কাছে নির্বাচন কমিশনে সদস্য হওয়ার জন্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার হওয়ার জন্য। এ যে আবেগীপনা। এই লোকগুলো নির্বাচন কমিশনে এলে আমরা সহজেই বুঝতে পারব দেশে গণতন্ত্র, ভোট ও নির্বাচনের পরিণতি কী হবে ?’
সোমবার এক আলোচনা সভায় রিজভী এসব কথা বলেন। আগামী সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিএনপিপন্থী প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রকল্প ৭১’ জাতীয় প্রেসক্লাবে এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, বিদায়ী কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন ইসির চেয়েও খারাপ হবে এমন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি কাজ করছে। আগের সার্চ কমিটি হুদাকে (কেএম নুরুল হুদা) খুঁজে পেয়েছিল। এবারের সার্চ কমিটি হুদার চেয়েও খারাপ আরেকজনকে খুঁজে পাবে।
সেই হুদাকে দিয়ে ভোট ডাকাতির নির্বাচন, কেন্দ্র দখলের নির্বাচন, প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচন, নিশিরাতে নির্বাচন হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা আশঙ্কা করেন, এবার সরকারের প্রতি অনুগত ব্যক্তিদের নিয়ে একটি কমিশন গঠন করা হবে যারা গভীর রাতের পরিবর্তে সন্ধ্যায় নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটি ‘নাটকের’ অংশ: বিএনপি
তিনি বলেন, ‘বর্তমান 'অবৈধ' সার্চ কমিটির সুপারিশ নিয়ে গঠিত ইসিকে তাদের দল আগাম প্রত্যাখ্যান করছে। অবৈধ সরকারের সব কর্মকাণ্ডই বেআইনি। এর সঙ্গে জনগণ ও স্বচ্ছতার কোনো সম্পর্ক নেই।’
রিজভী জানান, আওয়ামী লীগ শাসনের পতন নিশ্চিত করতে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে তাদের দল আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানাবে।
এর আগে সোমবার, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পরবর্তী নির্বাচন কমিশনের জন্য সার্চ কমিটিতে রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংস্থা এবং ব্যক্তিদের প্রস্তাবিত ৩২২টি নাম প্রকাশ করেছে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ আইন-২০২২’-এর অধীনে ছয় সদস্যের একটি সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। নতুন সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে ১০টি নাম প্রস্তাব করবে সার্চ কমিটি।