কোভিড-১৯-এর কারণে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও অক্টোবরে অনুষ্ঠিত দুই সপ্তাহের এ ক্যাম্পেইনে লক্ষ্যমাত্রার ৯৭ শতাংশ পূরণ হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, জাতীয় পুষ্টি সেবা এবং জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান ক্যাম্পইনের আওতায় টিকা প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করে ১৪ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এ সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ১৩ লাখ শিশু বন্যার ঝুঁকিতে: ইউনিসেফ
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি টোমো হোযুমি বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের শিশুদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক বিজয়। বিস্তৃত পরিসরে টিকাদানের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মী, শিশু ও তাদের বাবা-মায়েদের সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে এ ক্যাম্পেইন নেয়া হয়।’
ইউনিসেফের সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনটি পরিচালনা করে। যা কোভিড-১৯-এর প্রেক্ষাপটে নিরাপদে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্দেশনা ও যোগাযোগ উপকরণ তৈরিতে সহায়তা দেয়।
আরও পড়ুন: মহামারির মাঝেও দেশে টিকাদানের অগ্রগতিকে স্বাগত জানাল ইউনিসেফ
এছাড়াও, স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীদের জন্য ৩ লাখ ৬০ হাজার মাস্ক সরবরাহ করে ইউনিসেফ।
বড় ধরনের জমায়েত এড়ানোর লক্ষ্যে এ বছরের ক্যাম্পেইনটি এক দিনের পরিবর্তে ১২ দিন ধরে পরিচালনা করা হয়।
এক লাখ ২০ হাজারেরও বেশি বিতরণ কেন্দ্রের মাধ্যমে ক্যাম্পেইনটি পরিচালিত হয়, যেখানে বাবা-মা ও শিশুদের জন্য যথাযথভাবে মাস্ক পরিধান, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং হাত ধোয়ার সুবিধা নিশ্চিত করাসহ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করে স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা সেবা প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ইউনিসেফের নতুন শুভেচ্ছাদূত মুশফিক
সরকার প্রচারণা কার্যক্রমের বিষয়ে রিপোর্ট দেয়ার জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের জন্য রিয়েল-টাইম মনিটরিং ও রিপোর্টিংকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে।
ক্যাম্পেইন চলাকালে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সবাইকে টিকা দেয়া হচ্ছে কি না তা জানতে, বিশ্লেষণ করতে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো শেয়ারের জন্য প্রতিদিন ১ হাজার ৪৫০ জনেরও বেশি পর্যবেক্ষক ১৪ হাজার বিতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: প্রায় ২০০ কোটি ডোজ করোনার ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে ইউনিসেফ
তাৎক্ষণিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় এবং টিকা প্রদানের আওতা বাড়াতে এসব তথ্য ব্যবহৃত হয়।
কোনো একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জরুরি সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিলে সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সরবরাহগুলো জরুরি ভিত্তিতে নিকটস্থ আরেকটি কেন্দ্র থেকে পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়।
অপুষ্টি হ্রাসে গত দুই দশকের জাতীয় অগ্রগতিকে হুমকির মুখে ফেলে কোভিড-১৯ মহামারি জীবন ও জীবিকার ওপর প্রভাব বিস্তার অব্যাহত রেখেছে, যেখানে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু এবং প্রজননক্ষম নারীরা সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ন্যায্য প্রাপ্যতা নিশ্চিতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ‘মার্কেট ড্যাশবোর্ড’ চালু করল ইউনিসেফ
শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে এবং সংক্রমণের প্রতি সংবেদনশীলতা কমাতে ভিটামিন এ গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি টোমো হোযুমি বলেন, ‘বাবা-মায়েরা যাতে তাদের শিশুদের জন্য পুষ্টি সেবা গ্রহণ অব্যাহত রাখতে পারেন তা নিশ্চিত করতে ইউনিসেফ বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কষ্টার্জিত অর্জনগুলো যাতে পূর্বাবস্থায় ফিরে না যায় এবং কোনো শিশু যাতে পেছনে পড়ে না থাকে তা নিশ্চিত করতে আমাদের অবশ্যই জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে।’