বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান এ উৎসব দুর্গার্পজা আগামী ১১ অক্টোবর (সোমবার) থেকে শুরু হবে। এ বছর মাগুরা জেলায় চারটি থানায় মোট ৭১২টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদ।
গত বছর জেলায় ৬০২ মণ্ডপে পূজা হয়েছিল। এ বছর ১১০টি মণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালিমন্দিরে পূজা দিলেন মোদি
সংশ্লিষ্টরা জানান, ১১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে দেবীর বোধন আমন্ত্রণ অধিবাস দিয়ে শুরু হয়ে ১৫ অক্টোবর শুক্রবার মহাবিজয়া উৎসবের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে। এবার সদর উপজেলায় ২৩২টি, শ্রীপুরে ১৫৪, শালিখায় ১৭১, মহম্মদপুরে ১৩২ ও পৌরসভায় ২৩টিসহ জেলায় মোট ৭১২টি মণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের মতো করোনার কারণে এবারও পূজায় কোনো আলোকসজ্জা, মেলা, আরতি প্রতিযোগিতা, কোনো ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠিত হবে না। বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধুমাত্র মন্দির প্রাঙ্গণে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
সরেজমিনে মাগুরা সদরের বাটিকাডাঙ্গা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে শিল্পীরা ইতোমধ্যে প্রতিমায় মাটির কাজ শেষ করেছেন। চলছে রঙ-তুলির কাজ।
প্রতিমা শিল্পী মুকুল বৈদ্য বলেন, ‘ব্যস্ত সময় পার করছি। বেশ কিছু প্রতিমার কাজ পেয়েছি; কিন্তু পারিশ্রমিক ভালো না। পূজামণ্ডপে চলছে ডেকোরেশনের কাজ। আগে যে প্রতিমা ৫০ হাজার টাকায় তৈরি করেছি, এবার ২৫ হাজার টাকায় তৈরি করতে হচ্ছে। সারাবছর আমাদের এই দুর্গাপূজার আয়ের টাকায় সংসার চলে।’
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা: চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ মিষ্টি বিনিময়
মাগুরা নতুন বাজার স্মৃতি সংঘের আয়োজক প্রকাশ সাহা বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এবারও পূজার আয়োজন চলছে।’
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব কুণ্ডু বলেন, ‘মাগুরায় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলিম- সবাই মিলেমিশে বাস করে। উৎসবে সবার একাত্বতা হলেও এবার পূজায় উৎসব আমেজ সীমিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।’
জেলার পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম জানান, প্রতিটি মণ্ডপে আনসার, গ্রামপুলিশ, পূজা পরিষদের স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করবে। এছাড়া শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা প্রশাসন থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে মোবাইল টিমসহ ডিবি পুলিশের টহল ও গোয়েন্দা পুলিশ কাজ করবে।