‘প্রতিটা মানুষের জীবনে একাত্তর এসেছে। প্রতিটা মানুষকে একাত্তরে লড়াই করে বাঁচতে হয়েছে। শুধু সশস্ত্র লড়াই নয়, এর চেয়ে বড় লড়াই। জীবন ও মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই। আর সেখানে বার বার আসে নারীর বিরাট ভূমিকার কথা। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের নারীর ইতিহাস অস্বীকার করা মানে শুধু ইতিহাস অস্বীকার করা নয়, বাংলাদেশকেও অস্বীকার করা।’
মঙ্গলবার ইউএনবিতে সম্প্রচারিত পডকাস্টের ‘দখল দেশে: গণহত্যা ও ৭১’ সিরিজের চতুর্থ ও শেষ পর্ব ‘৭১ এ নারী ও যুদ্ধ সহিংসতা’ এর আলোচনায় এমনটাই বলেছেন ইউএনবি’র এডিটর অ্যাট লার্জ আফসান চৌধুরী।
একই সঙ্গে চার পর্বের এই আলোচনা অনুষ্ঠানে সঞ্চালনাও করেছেন তিনি। আফসান চৌধুরী একজন শিক্ষক, সাহিত্যিক, গবেষক ও সাংবাদিক। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
এর আগে ১৬ ডিসেম্বর সম্প্রচারিত হয়েছে এই সিরিজের প্রথম পর্ব ‘পাকিস্তান ও পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর পরাজয়’ এবং ২৩ ডিসেম্বর সম্প্রচারিত হয়েছে এই সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব ‘গণহত্যা ও ৭১’ এবং ২৯ ডিসেম্বর সম্প্রচারিত হয়েছে এ সিরিজের তৃতীয় পর্ব ‘দখল দেশে: গণহত্যা ও ৭১’ সিরিজের তৃতীয় পর্ব ‘নারী ও ৭১’।
মুক্তিযুদ্ধে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও নারীর যে ভূমিকা, যে অবদান- তা কী সে অর্থে স্থান পেয়েছে আমাদের ইতিহাস চর্চায়? আমাদের ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধে নারীর বর্ণনায় সব সময়ই গতানুগতিক বর্ণনা দেয়া হয়েছে।
নারীকে জোর করে ‘যৌনদাসী’ কিংবা পরিবার ও সমাজকে রক্ষায় নারীর আত্মাহুতি সেভাবে উঠে আসেনি আমাদের ইতিহাস চর্চায়। তেমনি উঠে আসেনি মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতার করার কারণে নারীর ওপর নেমে আসা নির্যাতনের বর্ণনা।
গবেষক আফসান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ছোট-ক্ষুদ্র ইতিহাস জানি। কিন্তু বৃহৎ জনগোষ্ঠীর ইতিহাস বাদ দিয়েছি। তাদের অস্বীকার করেছি।’