ভুক্তভোগী তরুণী বাদ হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এ ঘটনায় শুক্রবার চাঁদপুর জেলার হাইমচর থানার চর ভৈরবী গ্রামের কালু সৈয়ালের পুত্র প্রেমিক দিদার (২২) ও ফতুল্লা থানার কায়েমপুরের মৃত শরীফ সরদারের পুত্র আইনজীবীর সহকারী (মুহুরী) মুন্নাকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত ১৫ আগস্ট দুপুর একটায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পেছনে এসএম করিম ভবনের দ্বিতীয় তলায় আইনজীবী কেফায়েত উল্লাহর কামরায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরণীর বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) শফিক জানান, তল্লা বড় মসজিদ এলাকায় বসবাসকারী তরুণীর সাথে ধর্ষক দিদারের ফেসবুকের মাধ্যমে বন্ধুত্ব হয়। এর সূত্র ধরে তারা ম্যাসেঞ্জারে চ্যাটিংসহ মোবাইল ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ করতো। গত ১৫ আগস্ট দিদার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তরুণীকে আইনজীবী কেফায়েত উল্লাহর কামরায় ডেকে এনে মুন্নার সহোযোগিতায় ধর্ষণ করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে বলে জানান তিনি।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, আইনজীবীর সহকারীর সহায়তায় আইনজীবীর কামরায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আইনজীবীর সহকারীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আইনজীবী কেফায়েত উল্লাহ মুঠোফোনে বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া মুন্না তার সহোযোগী হিসেবে কাজ করলেও এ ঘটনার সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।