দাম বৃদ্ধির প্রকোপ ছিলো বছরজুড়ে। তাই ঈদ পণ্যের বাজারের তালিকা ছোট করেছেন মধ্যবিত্তরা। কিন্তু ঈদের আগে সেই তালিকাতেও কাটছাট করতে হচ্ছে।
কারণ, আরেক দফা বেড়েছে ঈদ পণ্য হিসেবে পরিচিত সেমাই, চিনি, দুধ ও পোলাও চালের দাম।
খুলনার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে চিনির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা। পোলাও চালের দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: নিম্নমানের সেমাই বিক্রির দায়ে মানিকগঞ্জে ৩ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
এছাড়া সেমাইয়ের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। বোতলজাত তেলের দামও বেড়েছে।
দেখা গেছে, কিছুদিন আগে প্যাকেট পোলাও চাল ১৩০/১৪০ টাকায় পাওয়া গেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন কোম্পানির প্যাকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা।
খোলা কালোজিরা চালের দামও কেজি প্রতি ১০/১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচেছ ১৫০/১৫৫ টাকা।
গত বছর ২০০ গ্রাম ওজনের বিভিন্ন কোম্পানির সেমাইয়ের প্যাকেটের দাম ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকার মধ্যে।
যা এ বছর ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেটজাত ঘিয়ে ভাজা সেমাইয়ের দাম ৯০-১০০ টাকা। যা আগে ২০ টাকা কম ছিল।
শুধু ব্র্যান্ডের নয়, একইভাবে খোলা সাদা সেমাইয়ের দাম কেজি প্রতি প্রায় ৪০-৫০ টাকা বাড়তি দেখা গেছে। গত বছর নন-ব্র্যান্ডের খোলা লাচ্ছা সেমাই প্রতি কেজি ৮০-৯০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি হয়েছিল।
এবার সেই লাচ্ছার মূল্য ধরা হয়েছে ১২০-১৪০ টাকা।
বিভিন্ন মুদি দোকানে বিক্রি হওয়া লাচ্ছা ২০০-২৪০ টাকার জায়গায় এবার পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৬০ টাকায়।
গত বছর ঘিয়ে ভাজা যে লাচ্ছা মানভেদে ৪০০ থেকে হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, এবার সেই একই লাচ্ছা ৮০০-১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেমাই ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার কাঁচামালের দাম অনেক বেশি। সেমাই তৈরির জন্য ব্যবহৃত ময়দা, তেলসহ অন্য উপকরণের দাম বেড়েছে।
যার প্রভাব পড়েছে সেমাইয়ের দামে।
নগরীর সন্ধ্যা বাজারের মুদি দোকানী ইউসুফ হোসেন বলেন, পাইকারী বাজারে সব পণ্যের দাম বেড়েছে। তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরির দায়ে ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা