শুক্রবার সকালে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত রহিমা বেগম আমিনা (৭০) উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের কটালপুর গ্রামের মৃত আখলু মিয়ার স্ত্রী। তিনি গোয়ালাবাজারের করনসী রোড এলাকায় নিজের বাসায় বসবাস করতেন।
জানা গেছে, রহিমা বেগমের তিন ছেলে ও এক মেয়ে যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। গোয়ালাবাজারের বাসায় তিনি কয়েক বছর ধরে একাকী বসবাস করছেন। তার মোবাইল ফোনটি গত মঙ্গলবার রাত থেকে বন্ধ থাকায় তার পরিবারের লোকজন বৃহস্পতিবার রাতে এসে বাসাটি তালাবদ্ধ দেখতে পান। স্বজনরা তালা ভেঙে প্রবেশ করে ঘরের মেঝেতে রহিমা বেগমের গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। বিষয়টি থানা-পুলিশকে অবগত করা হলে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
রহিমা বেগমের ভাই আবদুল খালিক বলেন, ‘কে বা কারা আমার বোনকে গলাকেটে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখেছে। গত মঙ্গলবার থেকে বোনের মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বাসায় এসে দরজা তালা বন্ধ দেখতে পাই। তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে বোনের গলাকাটা লাশ দেখতে পাই।’
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক বলেন, ধারণা করা হচ্ছে মঙ্গলবার রাতে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।’