রবিবার দুপুরে দুদক চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়-১ এ সমন্বিত আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার বাদী ও দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, প্রায় ৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এবং তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে মামলা দায়ের করেছে দুদক। প্রদীপের সম্পদ অনুসন্ধান ও প্রাথমিক তদন্তে দুদকের কেন্দ্রীয় অনুমোদন পাওয়ার পরই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
দুদক চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় সূত্র জানায়, ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু হয় মূলত ২০১৮ সাল থেকে। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ২০ এপ্রিল ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর সম্পদের হিসাব দাখিলের জন্য নোটিশ প্রদান করা হলে একই বছরের জুন মাসে ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রী সম্পদের হিসাব দাখিল করেন। এই সম্পদ বিবরণীর আলোকে দীর্ঘ অনুসন্ধানে দুদক প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রায় ৪ কোটি টাকার বেশি জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের তথ্য পেয়েছে।
১৯৯৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে এসআই পদে চাকরি পাওয়ার পর থেকেই মূলত ওসি প্রদীপ অবৈধ সম্পদ অর্জনে আত্মনিয়োগ করে। তার সম্পদ দৃশ্যমান হতে থাকে ২০০২ সাল থেকে।
দুদক সূত্র জানায়, ওসি প্রদীপের সব সম্পত্তিই তার স্ত্রী চুমকি কারণের নামে। যার কোনো বিশ্বাসযোগ্য জ্ঞাত আয়ের উৎসই নেই। চুমকি কারণের নামে ৪ কোটি ৪৪ লাখ ১৮ হাজার ৮৬৯ টাকার সম্পদ থাকার প্রমাণ পেয়েছে দুদক। এর মধ্যে তিনি পারিবারিক ব্যয়সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে খরচ করেছেন ২১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। চুমকি কারণের পূর্বের সঞ্চয়, উপহার, বাড়িভাড়া থেকে বৈধ আয় হিসেবে ৪৯ লাখ ১৩ হাজার ২৩৪ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। বৈধ আয় বাদ দিলে চুমকির নামে মোট তিন কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার অবৈধ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায়। এটা তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে সম্পদ ক্রয় করে স্ত্রীর নামে রেখেছেন বলে দুদক অনুসন্ধানে তথ্য পেয়েছে।